ওরে নবীন সবুজে লিখে কাবিন ভাঙবি শিশমহল
স্বর্গ এনে সোনালী দিনে করবি হৃদয় দখল
ধুলো আবরণ গায়ে রুক্ষ বেশে
হেসে হেসে উদ্ভাসে, এলে এলো কেশে
বৈশাখীর খাঁ খাঁ রৌদ্র পথের ধারে
ক্লান্ত শ্রান্ত অবিরাম ভারি ঘটি তেড়ে
ছিটাল জল চটচটে রুক্ষ চরে
তৃষ্ণায় জীবন্ত মরা মানবহীন পথে ভর দুপুরে
গা পোড়ানো ভ্যাপসা উনুন তাপ
ধুঁয়ার আলো ছায় ঝরছে অভিশাপ
আমার বিশ্ব গড়ব আমি মনের মত করি
দোয়েল টিয়া কাজল বিলে শ্যামল বনে ভরি।


এমনি কত প্রশ্নাকুলি ডাকে
এক ফোটা অনল ছোটা রাগে
শুষ্ক ব্যাকুল নীলিমা মুখে
বুক ফুলে দাড়ায় চোখে চোখে অভিমানহীন সুখে।
এই বেহুদা কত করবি কাদা কত জল ঢেলে
কত স্পর্ধা খোয়ায়ে কত দামি স্যুট মেলে?
আবেগে ছোড়ে বাসি কটু মালা
শ্রীহীন রুপে লতা পাশে শ্যামলা
প্রীতিখানা নিরব অপছন্দ জগত ঘাটে
যেমনে চলুক সওয়ারি, রুগ্ন মরা মাঠে
কাহিল রাগিণী আধমরা, ধুলো নিঃশ্বাসে
দেখ নির্মল পরিবেশ কাঁদা ঢেউ বিন্যাসে।


ভাবেনি রসহীন ভাষা ভারা গায়ে বেধে
কচিমাখা মুখ খেলে, নির্জন ধূলি ক্ষেতে
তারি ফল ঢলে তোমার পদতলে
বিলিয়ে শ্রম ঘাম অনুনয় আকুলে
সাবাস বলিষ্ঠ এ জবাব
বলি এ তোরিতো স্বভাব।