১.
তারপর আর কোন রাত আসেনি
মেঘের ফাঁকে চাঁদ উঠেনি।
শাদা শিমূল তুলোর মত,
তোমার আমার স্বপ্ন যত,
ভাসিয়ে ভেলা কালো জলে-
পূবের হাটে যাই।
ভাঙ্গা তরী, ঝলসানো মুখ সদাই দেখতে পাই!


২.
যা কিছু ভালো আমার তোমার কাছে,
দিনের শেষে পরিমানে তার অল্প বাঁচে।
দিনে দিনে যাচ্ছে পুড়ে জমছে কালি,
পোড়া কুঞ্জে ফুল ফোটাবে কোন সে মালি!


৩.
চকিতে চলিতে
হাসিতে খেলিতে
জীবন নামের ধাঁধাঁ।
একই বিস্ময়
সৃষ্টি-প্রলয়
তোমারই নয়নে বাঁধা।


৪.
জীবন নামের এই নদীটায়
আছে জোয়ার ভাটা।
যখন "আমার তুমি" থাকো,
যত্নে আগলে রাখো,
তোমার মাঝে লুকাই আমার-
যত অপূর্ণতা।


৫.
ঘুমের উপর ঘুম জমেছে
রাত যেন এক সিন্ধু,
স্বপ্নের রঙ পাইনি খুঁজে
স্বপ্ন কনার বিন্দু।
দিস্তা দিস্তা কাগজ জমেছে
উপচে পড়েছে ট্র্যাশ,
এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে
এই আছে ওরা বেশ।


৬.
পথ গিয়াছে মিশে
পথের শেষে,
যেখানে গোধূলি ছড়ায়ে দিয়াছে
সোনালি স্বপন।
আমিও অকপটে করিলাম তার
সবটুকু রুপ আহরণ।


৭.
তেপান্তরের মানুষ আমি
স্বপ্ন কনার বিন্দু,
আগুনের ভয় নেইকো আমার
বুকে স্রোতস্বিনী সিন্ধু।


৮.
মহাজগতের জাগতিক যতো
ধোঁয়া অথবা ধুলোর মতো,
সময় সুতোয় আটকে আছে
দুরের জ্বলা দীপ।
আকাশ তুমি এমনি থেকো
আমার আমিকে বাঁচিয়ে রেখো,
তোমার কাছে রেখে গেলাম
আমার ছোট্ট 'টিপ'।


৯.
যে তোমার যোগ্য নহে
তারেই সুধাও অষ্টপ্রহর।
কোথায় যেন সুতো ছেঁড়া
চোখের কোনে রক্ত ঝরে।
কোথায় পাবো আঁচল তোমার?
যেথায় আমি মুখটি লুকাই!


১০.
আমার সহস্র রাত্রি-দিন
এক আজব সুতোয় বোনা!
একটু, ভালো ঘুম কিনতে চাই,
আছে কারো কাছে? অতিরিক্ত? ফেলনা?
বিনিময়ে যা দিতে পারি-
তা আমার সহস্র রজনীর সঞ্চয়,
সে এক আজব সুতোয় বোনা!


১১.
জীবন খুঁজেছি গলিঘুপচিতে
জলে ডোবা থৈথৈ।
খুঁজেপেতে দেখি নতুন মলাটে
হারানো পুরনো বই!


১২.
বৃষ্টি না দিক ধরা।
কি আসে যায় তাতে?
নিলাম না হয় বুকে টেনে
কালাহারি'র খরা।


১৩.
কেউ কি জানে হায়
গভীর ক্ষত নিয়েও
জোৎস্না হেসে চাঁদ
কেমনে রোশনি বিলায়?


১৪.
কাল্পনিক রাতগুলো নকশিকাঁথায় মোড়া।
রাত যেমনই হোক- নিকষ আগাগোড়া।


১৫.
এখানে মানুষগুলো সার্থের দাস
লাশেরাও বেঁচে থাকে খেয়ে কোন লাশ।


©সুব্রত
জানুয়ারি ৭, ২০১২ থেকে আগস্ট ২০২১।