বলেছিলাম কাঁদবনা, কাছে ডাকবনা
চলে যেতে পারো, দূরে, বহুদূরে
বসন্তের মাঠ পেরিয়ে ধু ধু গ্রীষ্মের ধুসরে
পেরিয়ে দৃষ্টির অনন্ত দিগন্তে


বলেছিলাম আকাশের স্লেটে আঁকবনা, লিখবনা এই তোমাকে
চন্দ্রাভিসারের মৈথুনে হারিয়ে যেতে পারো গভীরে
বিক্ষুব্ধ গিরিখাতের পূর্ণিমা পেরিয়ে অঝোর বৃষ্টিতে
নির্ঘুম স্নানে ধূলিধূসর কুণ্ডের ঘূর্ণনে


বলেছিলাম এ শূন্য ঘর, উন্মুক্ত বিছানা, উদার জানালা,
নিস্তব্ধ লিখনি টেবিল, বোবা সময় আমার জন্য যথেষ্ট।
এসবের বন্ধ্যাত্ব থেকে তুমি মুক্ত চির অসীমের কুমারীত্বে
অমৃত সুরা পানের নৈসর্গিক গণিকালয়ে


কবিতার নিষ্কলুষ পঙক্তি, বিমুগ্ধ বেদনার পদাবলী
জনাকীর্ণের পুঞ্জিভূত নিশ্বাসে একাকীত্বের মোহে
বলেছিলাম আমায় থাকতে দাও, বাঁচতে দাও
চিরঞ্জীব সত্য হেমলকে দেখানো ব্রহ্মালোক ছেড়ে


বলেছিলাম...
কিন্তু স্বচ্ছ স্ফটিক রক্তে নির্বাণ বিমূর্ত সে তুমিই
কবিতা... আমার জীবন
তোমাকে ছাড়া আমি, আমার এসব বৃথা চেতন


©  মাহতাব বাঙ্গালী
৬ই মার্চ, ২০২৪, চট্টগ্রাম।