ঝড়ের গতি থাকেনি থেমে
পেটের খিদেও তাই
খালি পায়েই ফাঁক পথে
তাই
আপ্সে হেঁটে যাই।
তোমরা বাবু অনেক কিছুই
শুষলে যাদের থেকে
যারা তোমার পেট ভরালো
গায়েতে কালি মেখে,
ভিজল যাদের জামা কাপড়
ঘামেই ভিজে গিয়ে
তাদের যখন চোখ ভিজেছে
চোখ নিলে সরিয়ে!
আমরা তো জন্মাইনি হেতা
ছেঁড়া কাঁথায় বাস
ফি বছরই ঘর ভাসে,
আর কান্না উপবাস;
এসব কিছুই নতুন নয়
তা ঘরের আশেপাশে
কাজের অভাব।
রাজার স্বভাব,
প্রতিশ্রুতিই আসে।
কিন্তু তাতে ভরে না পেট
ভরতে থাকে ভোট
আমরা তো তাই ভোটার সবাই
সেলাই করা ঠোঁট।
এইভাবেতেই একদিন যেই
ঘর ছেড়ে এই দূরে
এলাম, মনে স্বপ্ন ছিল
ফিরব টাকা করে।
রাত দিন যায়, ঠাকুর ঘুমায়।
পকেট ভরতে গিয়ে-
পেট ভরে না, দিন চলে যায়
যন্ত্রণাকে নিয়ে।
তার উপরে আবার নাকি
কোন কোথাকার রোগ
শরীরে সবার ভর করে,
পায় মৃত্যু উপ-ভোগ।
বন্ধ দোকান, বন্ধ দেশের
অন্ধ নিয়মগুলো
ঘুরিয়ে দিলো ভাগ্যচাকা
কাজটা কেড়ে নিলো।
ছেঁড়া কাঁথায় ঘুমানো যায়
কিন্তু কতক্ষন!
আমাদেরও ঘর আছে,
আর আমার প্রয়োজন।
ভেবেই সবই অনেক সোজা
রাস্তা ব্যাঁঁকা দিয়ে
যখন পেলাম নিজের মাটি
ঘর দিলো তাড়িয়ে।
বাইরে থেকে দলে দলে
আসলো যত মাথা
তাদের নাকি ঠাঁই ভিন্ন,
রাজা পরিত্রাতা।
ট্রেনের লাইন
কত নিলো প্রান,
রাস্তা ঝরাল রক্ত
এখন নাকি স্বজন
ছাড়াও, থাকতে হবে শক্ত।
তাই তো ছিলাম।
হঠাৎ, যখন বাতাস এলো খুব
সরতে হলো,
বাঁচতে গিয়ে,
মরন পেলো রূপ।
জমি এখন জলের তলায়
স্বজন?- স্মৃতির খামে;
আমাদের ভাই, ডাকছে সবাই
'পরিযায়ী'- এই নামে।।


------------------------------
০১.০৫.২০২০(ই)
হাওড়া