ঘাসের ঐ মুকুতামালা ছড়িয়ে ছেটায়ে
মেঘের ঐ স্তন্যদুগ্ধে বৃষ্টি পাঠায়ে
রোদের হরফে বিশ্ব লিখেছে কবিতা তোমার
তাই চুমে, প্রেম গড়া ভূমে
এই  জন্ম আমার ।


স্বর্গ যেথায় গর্ব হারায়,
বোনের হাসির ইঁটে
গড়া এই মোর বঙ্গভূমি
বাঁধা অশ্রুর গিঁটে।


সেথায় শুধুই তুমি আর আমি
সানন্দে হই আনন্দগামী
ভাইয়ের সাথেই হাতে-হাতে
করি মৃত্যুপদ্মা পার
এখানেতে সবে সবার জন্য
অসময়ে অবতার।


একে একে দুইয়ে একুশ গড়ি
নয় করি নহে বীর হয়ে মরি
অন্যায়যমে কখনোও না ডরি
ধরি, স্বপ্ন পথের পার
এখানেই খোলে মানস মুকুরে
সুখ, বাণী আনিবার দ্বার।


অনধিকারী বলে কেউ নাহি হেথা
সোনার ক্ষেতেতে ঘামই বিধাতা
শিশু কলতানে হাসিভরা মাতা
পথে-ঘাটে চোখে আসে
চাঁদের আলোয় রাতের কালোয়
ভেজায় সে কোন আশে


সলিল সেথা পুন্যের পানি
গ্রামে ভরা দিঘি পদ্মের দানি
মধুমাখা বায়ে মল্লার তানে
একাকার সব প্রাণ
এখানেই শোনে ভূলোকের সবে
বারো মাস ঢাকা তেরো উত্সবে
হীরক হৃদয়ে চোখ গেলে
লাগে তারকার জ্যোতি ম্লান।


আমার শেষের নিশ্বাস কালে
দেহ ছোঁয়ে যেন তোমার আঁচলে
বিশ্বপ্রাসাদে দুর্গা দালান
সম তব ধরা তলে
আবার যেন ফিরে আসি মাগো
জড়াই তোমার গলে।

০৭।১১।২০১৬
বেলুড় মঠ