তোমাদের তৈরী আঁধারটা
রঙিন হয়ে সামনে চলে আসে।
সন্ধ্যানিশীতে ভগ্নদশার খালপাড়ের রাস্তা ধরে
মিশে যাই তালগাছ ছুঁয়ে যাওয়া
বাতাসের নৃত্যে।


ক্ষয়প্রাপ্ত জুতার ক্রমাগত বিশ্বাসঘাতকতায় পা ভারী হয়ে যায়
দুঃসহ যন্ত্রণা হাড়ের ভেতর।


মেরুদন্ডটা কুঁকড়ে উঠে আর
গোড়ালিটা ক্রমাগত চুমু খায় আধভেজা মাটিতে।
রেললাইন
ছুটে চলে আমার সাথে যখন
আঁধারবুকে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোর ফাঁক দিয়ে
চাঁদটা হাসে উপহাসের হাসি


আর


রেলের স্লিপার পাথরে হোঁচট খেয়ে
লোহিত তরল ঘাসে চুমু খেয়ে বিদায় জানায়।


একটা জোঁনাকপোকা
ইতস্ততঃ উড়ে ফিরে এসে বলে
ফিরে যেতে পার। অথবা সম্মুখে আঁধার তোমার গাঢ়
হয়ে আসছে।


কিছু নক্ষত্র তখনও বলে
চমকানো বিদ্যুতের বিপরীতে চেয়ে দেখ
শুভ্র মেঘের সারি হাতছানি দেয়
যদিও আঁধারে তুমি।


পথ হাঁটছি পোড়া নিকোটিনে বাতাসকে দূষিত করে
রঙিন আঁধারপানে.....