কবিতা লিখা পৃথিবীর কোনো মানুষের জন্যই অসম্ভব কিছু নয়। মানুষ তা পারে, যা সেই চেষ্টা করে। পৃথিবীর সকল মানুষরা কি গাড়ি চালাতে পারে? না সবাই গাড়ি চালাতে পারে না, কেবল তারাই গাড়ি চালাতে পারে যারা শেখার চেষ্টা করেছে। অনুরূপভাবে পৃথিবীর সকল মানুষ ছন্দ  কবিতা লিখতে পারে না, কেবল তারাই লিখতে পারে যারা শেখার চেষ্টা করেছে।


সুতরাং - আপনার যদি শখ থাকে বা কবিতা লিখে কবি হবেন, অথবা মনের শখে কবিতা লিখবেন, তাহলে অবিশ্যই আপনাকে কবিতা লেখার কলাকৌশল নিয়ম-কানুন শিখতে হবে।
যেমন: পৃথিবীর প্রত্যেকটি জিনিসের একটি করে নিয়ম থাকে। উদাহরণস্বরূপঃ


পানিরও একটি নিয়ম আছে উপর থেকে নিচের দিকে চলতে থাকা। গাছেরও একটি নিয়ম আছে নিচ থেকে উপরে উঠতে থাকা। মানুষের একটি নিয়ম আছে সামনের দিকে চলা। চোরের একটি নিয়ম আছে বারবার পিছনে থাকা। পাখির একটি নিয়ম আছে আকাশে উড়া। গাড়ির একটি নিয়ম আছে রাস্তায় চলা। শিয়ালের একটি নিয়ম আছে জঙ্গলে বাস করা। অনুরূপভাবে কবিতা লিখার ও একটি নিয়ম আছে লাইনের মিল এবং অর্থ ঠিক রাখা। এক কথায় পৃথিবীতে নিয়মের বাহিরে কিছুই নাই।


তাহলে এবার আসুন কবিতা লিখার নিয়ম সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা নিই। প্রথমে দেখাবো কীভাবে গল্প কিন্তু বাংলা রেডিং পড়া থেকে কবিতা বানাতে হয়।
কবিতা নিজের আবেগ থেকেও বহু ধরনের ভাব প্রকাশ করা যায়। কিন্তু কেবল মনের ভাব প্রকাশ করতে পারলেই কি আপনি কবি হয়ে যাবেন? কখনোই না।


মনের ভাব তো পৃথিবীর সকল প্রাণীও প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু তারা যেটা পারে না তা হলো মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে না।
উদাহরণস্বরূপঃ
একটি গরুও অন্য আরেকটি গরুর সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
একটি কুকুর ও অন্য আরেকটি কুকুরের সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
একটি বোবা মানুষও আরেকটি বোবা মানুষের সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
একটি হাতিও আরেকটি হাতির সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
একটি ঘোড়াও আরেকটি ঘোড়ার সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
সুতরাং - মনের ভাব প্রকাশ করলেই কেবল কবিতা হয়ে যায় না, অবিশ্যই অবিশ্যই আপনাকে কবিতা লিখার নিয়ম ফলো করতে হবে যা বাংলা একাডেমি অভিধান থেকে নির্ধারিত করা হয়েছে কবি-লেখকদের জন্য।


এবার আসুন আমরা দেখে নিই কীভাবে গল্প কিংবা বাংলা রেডিং পড়া থেকে কবিতার রূপ দিবো।
প্রথমে আমি একটি গল্প বলছি সে গল্প থেকে কবিতার রুপ দিয়ে দেখাবো।


একদিন আমি এক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে, কোথায় থেকে যেনো একটি হাতি এসে একটি  লাথি মেরে ফেলে দেয়! সেখান থেকে মাথা তোলে দেখি হাতিটা সেখান থেকে চলে যায়।  


এবার দেখাবো এই গল্প থেকে কীভাবে কবিতার রুপ দিতে হবে।


একদিন একটি রাস্তা দিয়ে, হেঁটে যাচ্ছি ভাই
হঠাৎ করে একটি হাতি, সামনে দেখতে পাই।
মারলো আমায় একটি লাতি, ব্যথা পেলাম হায়
মাথা তোলে দেখি আমি, হাতি চলে যায়।


ঠিক এভাবেই কবিতার রূপ দিতে হবে যেভাবে আমি দিয়েছি। এখন নবীনদের প্রশ্ন হলো কীভাবে আমি রূপটা দিলাম। চিন্তা নাই আমিও তাও বলে দিচ্ছি।


আমার লেখা ছন্দটি আপনি ভালো করে ফলো করুন। চারটি লাইন দেখতে পাবেন।
এখন আমি আপনাকে প্রশ্ন করবো প্রথম লাইনের সাথে দ্বিতীয় লাইনের ছন্দের মিল আছে কিনা?
এবং তৃতীয় লাইনের সাথে চতুর্থ লাইনের ছন্দের মিল আছে কিনা?
নিশ্চয় আপনি উত্তর দিবেন, হ্যাঁ মিল রয়েছে।


এখন আমি আপনাকে আবার প্রশ্ন করবো, প্রথম লাইন ও দ্বিতীয় লাইনের শেষের শব্দ দুইটি কি।
অবিশ্যই আপনি উত্তর দিবেন - ( ভাই এবং পাই )  এই দুইটি শব্দ প্রথম এবং দ্বিতীয় লাইনের শেষে বসিয়েছি।
আমি আপনাকে আবার প্রশ্ন করবো।
( ভাই - পাই ) এই দুইটি শব্দের শেষের কোনো বর্ণটি রয়েছে।  
নিশ্চয় আপনি উত্তর দিবে দুইটি শব্দের শেষেই ( ই ) বর্ণটি রয়েছে।
এবার আমি বলবো হ্যাঁ সঠিক উত্তর দিয়েছেন।
ঠিক এভাবেই কবিতা গঠন করতে হয় যেমন: আমি  প্রতি দুই লাইনের শেষের শব্দটি মিল রেখে কেবল একটি বর্ণ দুই লাইনের শেষেই বসিয়েছি।
এভাবেই আপনি সকল কবিতা ফলো করলে দেখতে পাবেন। প্রতি দুই লাইনের শেষের বর্ণ একই রয়েছে।
কেবল একটি বর্ণই দুই লাইনের শেষে বসানো হয়।


এবার আসুন শেষের দুই লাইনের কথা বলি।
অনুরূপভাবে আপনাকে আবারও প্রশ্ন করবো শেষের দুই লাইনের শেষের দুইটি শব্দ কি রয়েছে?
নিশ্চয় আপনি উত্তর দিবেন। ( হায় এবং যায় )
হ্যাঁ সঠিক উত্তর।


আমি আবার প্রশ্ন করবো ( হায়,  যায় ) এই দুইটি শব্দের শেষে কোন বর্ণটি রয়েছে।
অবিশ্যই আপনি উত্তর দিবেন, ( য় ) রয়েছে দুইটি শব্দের শেষে।
হ্যাঁ সঠিক উত্তর।
এবার ভালো করে আমার কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করুন এবং উপর থেকে আবার বুঝার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ।


আমি চারটি লাইনের একটি ছন্দ লিখেছি উপরে।
এই চারটি লাইন থেকে। প্রথম দুই লাইনে একটি ভাগ
শেষের দুই লাইনে কিন্তু আরেকটি ভাগ করা হয়েছে।
যেমন: প্রথম দুই লাইনের শেষের দুইটি বর্ণ একই রাখা হয়েছে।  ( ই )
এবং পরের দুই লাইনের শেষের দুইটি বর্ণ একই রাখা হয়েছে।  ( য় )


ঠিক এভাবেই আপনাকে ছন্দ কবিতা লিখতে হবে।
যদি আপনি দেখতে পান পড়তে আটকে আটকে যাচ্ছে তখন, আগের শব্দ পরে এবং পরের শব্দ আগে এভাবেই উলটপালট করে শব্দ বসিয়ে গঠন করবেন যাতে পড়ার সময় মুখে ধাক্কা না লাগে।
কিন্তু আপনি প্রথম প্রথম এত সহজে সোজা করে লিখতে পারবেন না। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে।
কেননা কেহ মায়ের পেট থেকে শিখেই তারপর দুনিয়াতে আসে না। সবাইকে দুনিয়াতে এসেই শিখতে হয়। অনুরূপভাবে আপনাকেও শিখতে হবে ধীরে ধীরে, শিখতে গিয়ে আপনার আমার অগণিত ভুল হবার সম্ভবনা রয়েছে তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে। যতোবেশি ভুল হবে ততোবেশি শেখার চেষ্টা করতে হবে।


এতক্ষণ তো কবিতা গঠনের নিয়মবলী শিখিয়েছি কেবল। এটা হচ্ছে শুধু শেখানোর জন্যই এভাবে,বলা হয়েছে। মূল কথা হচ্ছে কেবল ছন্দের মিল থাকলেই কবিতা হয়ে যায় না। কবিতা লেখার জন্য রয়েছে বহুমাত্রিক নীতিমালা।  কিন্তু কবিতা লেখার নীতিমালা ছন্দ মাত্রা পর্ববিন্যাসে যাওয়া আগে আপনাকে কবিতা লেখার কৌশল শিখতে হবে।যেমন কবিতার নীতিমালা ছন্দের পর্ব মাত্রাবিস্যাস বুঝার জন্য আগে আপনাকে কবিতা লেখা শিখতে হবে কবিতার জগতে পা রাখতে হবে।
যদি আপনি কবিতাই না শিখেন না বুঝেন তাহলে নীতিমালা দিয়ে কি হবে।
আগে ভিতরে প্রবেশ করা তারপর নীতিমালা অনুসরণ করা।


বাংলা কবিতা দুই প্রকার।
১/ গদ্য কবিতা  ২/ পদ্য কবিতা
এখানে যার যার স্থানে তার তার নীতিমালা রয়েছে।


বাংলা ছন্দ তিন প্রকার।
১/ স্বরবৃত্ত ছন্দ  ২/ মাত্রাবৃত্ত ছন্দ   ৩/ অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।
মূলত:  এই তিন ছন্দকেই পদ্য কবিতা ও ছড়া কবিতা বলা হয়।
যদি আপনি ছড়া কবিতা লিখতে চান তাহলে আপনাক স্বরবৃত্ত ছন্দতে লিখতে হবে।


পদ্য কবিতা কাকে বলে।?
পদ্য কবিতা বলা হয় যেসমস্ত কবিতা লিখতে মাত্রা গণনা করে লিখতে হয়,পর্ববিন্যাস ঠিক রাখতে হয়।
নিজের মতো মনগড়া লিখলেই কবিতা হয়না। তাকে বলা হয় পদ্য কবিতা।


গদ্য কবিতা কাকে বলে?
গদ্য কবিতা বলা হয় সেসমস্ত কবিতা কে যেসমস্ত কবিতা লিখতে ছন্দ মাত্রার দরকার হয় না। পর্ববিন্যাসের দরকার হয় নাই।
যারা নিজের মনগড়া কবিতা লিখে থাকে কবিতার নীতিমালা অনুসরণ করে না। সেসমস্ত কবিতা কে গদ্য কবিতা বলা হয়।
তাছাড়া গদ্য কবিতা লিখতেও রয়েছে বেশ কিছু নীতিমালা। যেমন গদ্য কবিতা দুই প্রকার।
১/ সমিল গদ্য   ২/ অমিল গদ্য


এবার দেখাবো একটি রেডিং পড়া থেকে কীভাবে কবিতা রচনা করতে হয়।


আমাদের দেশে এমনও অনেক ছোট ছোট নদী রয়েছে যেগুলো দেখতে আঁকা বাঁকা। কিন্তু সকল নদী গুলো আপন আপন কক্ষপথে অতিবাহিত রয়েছে। নদী গুলোতে বৈশাখ মাসে হাঁটু পর্যন্ত পানি থাকে, গরু গাড়ি এসবও পার হয়ে যায়। নদীর দুইধারে থাকে উঁচু উঁচু পাড়।
এবার এটাকে কবিতা রচনা করা যাক।


আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে  
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।  
পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,  
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।  


এটা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি ছড়া কবিতা থেকে উদাহরণস্বরূপ টানা হয়েছে।


এখানেও আমি আপনাকে সে উপরের একুই কথা বলবো যে।
আপনি রবীন্দ্রনাথের এই চার লাইন কবিতা থেকে প্রথম দুই লাইন ভালোভাবে ফলো করে দেখুন তো।
প্রথম দুই লাইনের শেষের দুইটি বর্ণ এক রয়েছে কিনা?
আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রথম দুই লাইনের শেষের দুইটি বর্ণ একই রয়েছে ( কে )
যেমন: প্রথম লাইনের শেষেও ( কে ) ব্যবহার করা হয়েছে।
দ্বিতীয় লাইনের শেষেও ( কে ) ব্যবহার করা হয়েছে।


এবার আসুন শেষের দুই লাইনে দেখি আমরা।
শেষের দুই লাইনের শেষের দুইটি বর্ণ দেখুন একই বর্ণ রয়েছে কিনা।
আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে শেষের দুই লাইনের শেষের দুইটি বর্ণ ( ড়ি ) রয়েছে  অর্থাৎ একই বর্ণ রয়েছে।


অনুরূপভাবে সর্বপ্রথম এই নিয়মে কবিতা রচনা করতে হবে বাকি নিয়ম পরে শিখতে হবে।
যেমন প্রতিটি দুই লাইন কে ভাগ আলাদা করবেন এবং শেষের দুইটি বর্ণ একইভাবে ব্যবহার করবেন।
তবে একটি কথা বলে রাখা উচিত মনে করছি এই  লেখাটি নতুন একটি আলাদাভাবে বইয়ের জন্য লিখা। যেহেতু এটা প্রথম পর্ব এখানে সব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এক পর্বের মধ্যে পাওয়া সম্ভব নয়।
আপনাকে কবিতার সম্পূর্ণ নিয়ম-কানুন কলাকৌশল শেখার জন্য পুরো বইটি সংগ্রহ করে ভালোভাবে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
বইটি একেবারে নতুন লেখক-লেখিকা থেকে শুরু করে পুরাতন কবি-লেখক লেখিকা পর্যন্ত সবার উপকারে আসবে।
এবার আসুন নিচে আরো কয়েকজন বিখ্যাত কবিদের লিখা থেকে উদাহরণস্বরূপ দেখে নিই।


আমি হব সকাল বেলার পাখি  
সবার আগে কুসুম-বাগে উঠব আমি ডাকি।  
সূয্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে,  
হয়নি সকাল, ঘুমো এখন’- মা বলবেন রেগে।


এটা আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম  এর লিখা একটি কবিতা থেকে চার লাইন উদাহরণস্বরূপ ব্যবহার করা হয়েছে।


এই চার লাইন কবিতা থেকে প্রথম লাইনের শেষের দুইটি শব্দ দেখুন।
যেমন: ( পাখি - ডাকি )
এখানে এই দুইটি শব্দ হচ্ছে প্রথম লাইনের শেষের শব্দ।
এই দুই শব্দের শেষের দুইটি বর্ণ ভালো করে দেখুন এক রয়েছে কিনা।
উত্তর হবে হ্যাঁ  শেষের দুইটি বর্ণ এক রয়েছে।
যেমন: ( খি - কি ) এই দুইটি বর্ণ উচ্চারণের একি বর্ণ অর্থ ভিন্ন দাড়ালো উচ্চারণে একই বর্ণ।
কবিতার চরণের শেষ বর্ণ বিবেচনা করা উচ্চারণের উপর নির্ভরশীল।


এবার এর পরের দুই লাইনের শেষের বর্ণটি দেখুন।
যেমন: আগে শেষের শব্দ দুইটি দেখাই ( জেগে - রেগে )
এখানে ( জেগে ) শব্দের শেষের বর্ণটি কিন্তু ( গে ) ব্যবহার করা হয়েছে।
রেগে - শব্দের শেষের বর্ণটিও কিন্তু ( গে ) ব্যবহার করা হয়েছে।


তাহলে এতক্ষণে বুঝতেই পারছেন যে কবিতার প্রথম সহজ নিয়মটি।
হ্যাঁ এরজন্য আপনাকে প্রথমে আরো তিনটি জিনিসের সাথে পরিচিত হতে হবে।
১/ শব্দ কাকে বলে শব্দ কি?
২/ অক্ষর কাকে বলে অক্ষর কি?
৩/ বর্ণ কাকে বলে বর্ণ কি?


সর্বপ্রথম আপনাকে এই তিনটি জিনিসের প্রতি সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তবেই কবিতা লিখা আপনার জন্য সহজ হবে। এবং বুঝতেও কঠিন মনে হবে না।


শব্দ / এক প্রকার: যা বাংলা রেডিং লেখা থেকে আলাদা আলাদা করে স্থান পায় তাকে একটি শব্দ বলে।
অক্ষর / দুই প্রকার: অক্ষর মুখের উচ্চারণের শ্বাসের উপর নির্ভরশীল। মুখের উচ্চারণের একটি শ্বাস কে একটি অক্ষর বলা হয়।
বর্ণ / দুই প্রকার: ১/ স্বরবর্ণ  - ২ / ব্যঞ্জনবর্ণ।


আমি জানি এতোটুকু ব্যাখ্যায় আপনাদের জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়। তাছাড়া আমিও এগুলোকে ব্যাখ্যা হিসাবে বর্ণনা করিনি। এগুলো কেবল কিছু শিরোনাম: যা আলোচনা করতে যাচ্ছি সামনের দিকে।


এবার আমি মনে করি আপনাদের আরও  একটি বিষয়ে জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
তা হলো কবি এবং লেখকের পার্থক্য কি?
উত্তর: এক কথায় বলতে গেলে বলতে হয়, সকল কবিগণ লেখক, কিন্তু সকল লেখক কবি নন।


যদি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে বুঝাতে বলেন তখন বলবো।
যে ব্যক্তি কাল্পনিক গল্প-উপন্যাস লিখতে পারে তাকে লেখক বলা হয়।
কবি হতে আরো বহুমাত্রিক বেশি গুণ থাকা আবশ্যক।
যেমন: একজন ব্যক্তি কবি হতে হলে, তাকে আগে লেখক হতে হবে।
লেখক থেকে কবি হতে হয়।