আচমকা তোমায় দেখে থমকে গেছি আমি ! মনের মাঝে
খুঁজে ফিরি কোথায় দেখেছি জানি।
খুঁজতে গিয়ে ছুটে যায় অতীতের কোলে, পেলেম তোমায়
বাল্যকালে ছায়াবীথির তলে।
মনের ভিতর হরিন লাফায় তোমায় চিনার পরে, মাথার চুলে
পাক ধরেছে, মুখটা আছে তেমনি, চোখের কোনায় কাজল
রেখা, ভ্রু-জোড়ায় কলোনী, সদা হাস্য চেহারা, তোমার বয়সের
ছাপ পড়েনি।
আমায় তুমি চিনলে নাকি ভাবছি বার বার, সময় গেছে অনেক
পিছনে ছুটছে জীবন তাই !
অতীতের স্মৃতি সামনে ভাসে তোমার দেখা পেয়ে, অতীত জীবনে
কত হাসি, কত দুঃখের স্মৃতি রয়েছে এ মনে,
ষড় যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে হঠাৎ বিচ্ছেদ আমাদের, মনের কোনে জায়গা
আছে, পুরন হয়নি আজ ও শেষ।
বাড়ীর চাপে সংসারী মোরা জানিনা সুখী কতটুকু, মা বাবার যড়যন্ত্র
পুরন হয়েছিল বটে, ছেড়ে গেছে তপ্ত মুরুভুমির বুকে।
রোদের তাপদাহ, বালুর উষনুতা, প্রেমের খরোতাপে সর্বক্ষণ আমায়
পুড়িয়ে মারে ক্ষণে ক্ষণে।
অনেক দিন পর দেখা, কেমন যেন হাত পা অবস হয়ে আসছে, গলা
শুকিয়ে যাচ্ছে !
জানিনা তোমার কেমন লাগছে ? শুভংকর ভালবাসার দহন এমনই,
না পাওয়ার কষ্ট গুলো মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্ত থাকবে জানি !
তবে, আমাদের ছেলে মেয়েরা আমাদের এই ভালবাসা কিভাবে নিবে
জানি না।