বনশাই ও ক্যাক্টাস দুটি গাছ পাশাপাশি
দুটি টবে শোভা পাচ্ছে,
বাড়ীর বারান্দায় শখের ফুলের বাগানে
নিজেকে গর্ভীত মনে করে বাগানের মালি বা গৃহিনী।


কিন্তু কি আচার্য ! উভয় গাছ ই সন্ধানে নেমেছে
তাদের আদি পরিচয়ে‘র; ভাবুন আপনারা !
দুঃখ উভয়ের, তাদের অবস্থান হওয়ার কথা ছিল  
খোলা আকাশের নীচে, বনাঞ্চল আর মুক্ত ভূমিতে !


কিন্তু কেন টবে ! কেন নিদিষ্ট জনের মনোরঞ্জন জন্য,
কেন আমাদের চার দেয়ালের মাঝে স্বাধীনতা হীন বেঁচে থাকা
আমরা কি তাহলে মানব-প্রজাতির ষড় যন্ত্রের শিকার ! নাকি
জিঘাংসার কোন ফসল !
পরাধীনের মত অন্যের ইচ্ছায় বেঁচে থাকা।


হঠাৎ একদিন সকালে ফুলের টব পরিচর্চায় ব্যাস্ত গৃহিনী
পাশে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্রী মেহমান আমার নাম (বনশাই)
বলে কথা বলছে, মনোযোগ সহকারে শুনে আমার কান্না থামাতে
পারছিলাম না, জানলাম আমার পূর্ব পুরুষ বট গাছ!


পৃথিবীতে এক শ্রেণীর লোভী প্রকৃতির মানব-প্রজাতির জন্য  
ব্যক্তি তে, সমাজে, রাষ্ট্রে ও গোষ্টিতে হানাহানি, অস্থিরতা বিরাজমান,
সমাজে বনশাই ও ক্যাক্টাসের মত বেঁচে আছে মানব-প্রজাতির মানুষ,
প্রতিবাদের যোগ্যতা নাই।