বাঙ্গালী নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখি পড়ন্ত বিকেল
চারিদিকে ফাঁকা মিষ্টি রোদের তেজ দেহ মন করে অবগাহন
নদীর আঁকা বাঁকা পথ যত দুরে চোখ যায় শেষ নাই তার
গরুর পাল নিয়ে ছুটছে রাখাল গোধুলী ছড়িয়ে সম্মুখ পানে
হরেক রকম পাখি সারি বদ্ধ কোলাহল করে ফিরে নিজ গৃহে
আমি একা দাঁড়িয়ে দৃশ্যপটের ছবি আঁকছি আর ভাবছি!


এ যেন ইহ জগত ত্যাগের পূর্বাভাস, দিনের আলো অভিমান
করে ঘুমিয়ে পড়ার পূর্ব-প্রস্তুতি নিচ্ছে, থামাবার কেউ নেই
পরিবেশ যেন উনুনে পোড়া কাঠ কয়লার আগুনের দহন
কখনো ছন্দ পতন আবার কখনো গতি পথ নিদিষ্ট গতিতে
আয়ুষ্কাল মাঝে এ এক আলো-ছায়ার খেলা।


সঠিক সাধনায় জীবন পৌঁছায় তার সঠিক পথে আলো ছড়ায়
সূর্যের আলোর গতি ময় গতিতে, আবার দিন-রাত্রির মত জীবনে
অন্ধকার নেমে আসে সাধনার বিচ্যুতি তে এ যেন নিয়তির খেলা,
নদীর স্রোত বহমান, ঢেউ র পিছনে ঢেউ তার নিজস্ব গতিতে চলে জীবনের মত,
পিছন ফিরা র সুযোগ নাই।


কালের গর্ভে সময়ের ঘুর্নী পাকে সমাজ ও সংসার ঘুরছে
ঘড়ির কাঁটার মত বিরামহীন, তুমি যাবে ভাই, যাবে আমার সাথে
আমাদের ছোট গায়, বাল্যকাল ফেলে এসেছি যেথায় !
বাউণ্ডুলে পোনা নদীতে সাঁতার কাটা গরু আর মানুষ একসাথে
নদীতে গোসল করা, মেঠো পথ ধরে নিজ গৃহে ফেরা।


নগরায়ন জীবন সকালে সূর্য উঠে সারি সারি উঁচু উঁচু বিল্ডিং’র কোনায়,
মনে হয় ছাতা মাতায়, ভাগাড়ের উপর, বিষ বাষ্প, পোলিশন আর !
শব্দ দুষুন সাথে নিয়ে চলার পথ, দক্ষিণে র হাওয়া বাধা প্রাপ্ত হয়ে
অবশেষে স্পর্শ করে দেহে, তবুও ভালবাসি আমার দেশ ও মাটি কে।