গাজীপুরের ছেলে আমি ছায়া বীথিতে ঘেরা
দিনের বেলায় পথে হাটলে ঝোপ-জংগলে ভরা
হরেক রকম পশু-পাখি বসবাস করে সেথায় !


বাল্য কালে সবাই মিলে ছুটে যেতাম স্মশ্বানে,
মনের সুখে খেলতাম আমরা গোল্লা ছুট আর বদনে
পড়ালেখা ফাঁকি দিয়ে চলতো খেলা সারা বেলা।


মায়ের হাতে লাঠি দেখে লুকিয়ে পড়তাম মটে
এদিক সেদিক খুঁজ তো মা রাগান্বিত চোখে
ঝোপ জঙ্গলে শব্দ হলে তাকিয়ে দেখতো মা
মা-কালির রুদ্র মুর্তির রূপে মারতো দু’ চার ঘা।


মার বাঁচাতে সকলে মিলে ঘিরে ধরতাম মাকে
দাঁড়িয়ে বাঁধা খেলার মত ধোঁকা দিতাম তাঁকে
কৌশল করে খুঁটে পালাতাম মেঠো পথ ধরে।


পথের দুই ধারে দেবদারু আর, ছাইতন গাছের সারি
মুক্ত বিহঙ্গের মত নিঃশ্বাস নিতাম সকাল দুপুর ভারি
বাড়ী ফিরে চুপটি করে বসতাম পড়ার টেবিলে
ক্ষুধার জ্বালা চরম জ্বালা বলতে পারতাম না মাকে ।


অভিমান মনের দুঃখে একা একা কইতে থাকে
লিখা পড়া আর হবে না তোদের হবি গরু গাধা
আমি যখন থাকব না বুঝবি দুনিয়া টা কত সোজা।


মেঠো পথ আর মেঠো নাই হয়েছে পাকা রোড,
সারি সারি দালান হয়েছে হারিয়ে গেছে সুখ
কল-কারখানার অভাব নাই মানুষ হয়েছে বোধির
হারিয়ে গেছে সবুজ শ্যামল গ্রাম গড়ে উঠেছে নগর।

মা হয়েছে স্বর্গ বাসী মোরা হয়েছি বড়, ছেলেবেলা ফিরে পায় না
স্মৃতি বড় কাঁদায়………।