কে গো বাছা তুমি ! কি তোমার পরিচয়
আমি ইছামতি নদী আমার মা আর নানী
যমুনা আর পদ্মা নদী ছিল !


পরিচয়ের জন্য নিজেকে জাহির করছো,
যমুনা আর পদ্মার উত্তাল যৌবন, রুদ্র মূর্তি
ভাঙনের তর্জন গর্জন দেখোনি
এমন কেউ আছে নাকি এ দেশে ?


নদীর পাড়ে বাড়ী, বাজার, শহর, সুন্দরতম স্থান
কিছুই রেহাই পায়নি বর্ষায়।
নদী গর্ভে বাড়ীর ঘুমন্ত মানুষ তর্জন-গর্জন
এবং ভাঙনে আতংকিত দিশাহারা হয়ে উঠে ছিল,
কিন্ত তবুও কেউ রক্ষা পায়নি।


নদী শান্ত হয়ে এলে অপর পাড়ে পলি মাটিসহ চর পড়ে
এত কষ্টের পরও কৃষকের চোখে মুখে আনন্দ
তোমার পুর্ব পুরুষ সত্যিই পদ্মা যমুনা নদী হলে
কোন তর্জন গর্জন রুপ-যৌবন নাই কেন ?


তোমাকে দেখলে মনে হয় গজনার বিল বা চলন বিল
বর্ষায় নাই কোন গর্জন, যৌবনের উদ্মাদনা, নিরবে বহমান,
তোমার বুকে গরু মহিষ গোসল করে, মানুষ হেঁটে পার হয়,
বাড়ীর সুয়াঁরেজের পানি তোমার বুকে এসে জমে,
কোন প্রতিবাদ নাই!


কি বলবো বল ! এ যে আমার নিয়তি সভ্যতার যুগে অসভ্য ব্যবহার
এই ভাবে হয়তো, আমি ওদের হাতে বিলীন হয়ে যাবো একদিন,
আমাকে বাঁচানোর কারো কোন চেষ্টা লক্ষণ আমি দেখছি না।