নিশুতি রাত শহর ঘুমিয়ে পড়েছে, জেগে আছে শুধু শহরের রাস্তা
গুলো, ল্যাম্প পোষ্টের খাম্বা গুলো, বিরামহীন ভাবে আলো দিয়ে
যাচ্ছে । ডাসবিনে রাতের কুকুর গুলো গলা ঢুকিয়ে খাবার খুঁজছে,
মাঝে মধ্যে একে অপরের সাথে ঝগড়া করছে!

আমি জেগে আছি একা, ঘুমের মা আমাকে অনেক আগে ছেড়ে
গেছে, মাথায় ঘুর ঘুর করছে হাজারো চিন্তা, ফেলে আসা দিন
গুলোতে আদও কি মানুষের কল্যানের জন্য কোন কাজ করেছি
কিনা মনে পড়ে না, ভেবেছি শুধু নিজেকে নিয়ে! আমি কি সুখি ?

পাশের রুম থেকে রেলগাড়ী চলার শব্দের মত কে যেন নাক ডেকে
ঘুমোচ্ছে, কি ঘুম যেন পৃথিবীর সব সুখ এসে নাকে জমেছে, কই
আমাকে একটু দিলে কি হয়! কিন্ত দিবে না, এটাই ভাগ্য।

এই গভীর রাতেও বড় লোকের বখে যাওয়া ছেলে/মেয়েরা ড্রিং করে
এলো মেলো গাড়ী ড্রাইভ করছে, গাড়ীর ভিতরে অস্বাভাবিক ভাবে
একে অপরের সাথে লেগে বসে আছে, মনে হয় স্বাভাবিক জ্ঞান নাই।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য গুলো চোখে পড়ল তারাও মানুষ,আমরাও
মানুষ, পার্থক্য শুধু টাকা পয়সা, কত মানুষ পেটের জ্বালায় হাত পাতছে
রাস্তায় দাঁড়িয়ে, কেউ বা নিজের স্বতির্থ বিক্রি করছে !

বহুদিন পর রুহিনীর কথা মনে পড়ছে, এদের দৃশ্য দেখে। ভার্সিটিতে
আমরা একসাথে পড়তাম, ভালবাসতাম খুব জীবনের চেয়েও বেশী!
বিয়ে করলাম আমরা কিন্ত একদিন টাকা পয়সা নিয়েই একদিন
আমাকে ছেড়ে চলে গেল ! আর ফিরে আসেনি।

সেই থেকে আমি একা, ঘুমের মা আমার কাছে আর আসে না।এভাবে
ঘরে, বারান্দায় রাতে পায়চারি করা আর আজে বাজে চিন্তা করে রাত
পার করা এবং মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দৃশ্য দেখা। জীবন টা আমার কেন !
এমন হলো বলতে পারেন!