কু-ঝিকঝিক রেলের গাড়ি
যাচ্ছি সবাই দিচ্ছি পাড়ি


চললে কোথায়? সোমরাবাজার?
ঝোলায় আছে মজা হাজার


শুরু তো সেই দীঘার জলে
পঁচিশ বছর ফুলে ফুলে


গাছ বেড়েছে শিকড় ছেড়ে
কলকাকলি পুরীর ভীড়ে


মন বলল, কোথায় হারাই?
উঠল হুজুগ, বেতলাতে যাই


বনের ধারে ঝর্ণাধারা
মন হল যে বাঁধনহারা


গান-ঝগড়া-হাসির সুর
ঘুরে আসি চল রুদ্রপুর


সাগর ছেড়ে আরেক বনে
গরুমারার সঙ্গোপনে


রাতের শিশির ফিসফিসিয়ে
তাবুর উপর পড়ছে গিয়ে


দূরে বাঘের আওয়াজ আসে
হাতির গন্ধ হাওয়ায় ভাসে


কালিম্পং-এ ছোট না এবার
ঝালং-বিন্দু-তিস্তার ধার


চিতার চোখে চা-বাগানে
বাইসনদের খেলার বনে
মূর্তিজলে হাতির স্নান
আবার যেতে মন-আনচান


ভুলবো নাকি রোটাং পাস
দিন ও রাতের বরফবাস


সিমলার ট্রেন, কুলু-মানালি
ও বন্ধু, তুই ফের হারালি


মনের মাঝে উদাস হাওয়া
এই তো সেদিন সিকিম যাওয়া


যাওয়া মানেই একটা কিছু
ঠিক জানি যে নেবেই পিছু


তাতেই বাড়ে গল্প-পুঁজি
লিখি তো ছাই হিজিবিজি


মাঝে মাঝেই একসাথে ভোজ
হয় না কেন এমন রোজ?


রাত পেরিয়ে সূর্য ওঠে
২৫ বছর যাচ্ছে কেটে


পাঁচ পরিবার বছর পঁচিশ
পিঠটা নিজেই চাপড়ে নিস।


-------------------------------------------------------
(পচিশ বছর আগে সম-মনোভাবাপন্ন দুই বন্ধু একসঙ্গে চলা শুরু করে। মাঝে মাঝে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া। গড়ে ওঠে এক অন্যরকম পরিবার। বোধে ছিল, ছোটো সংসার হওয়ায় বাচ্চারা কেউ ভাইবোন পায় না। ওরা একসঙ্গে বেড়ে উঠলে সেই বোধটা তৈরি হবে। ধীরে ধীরে সেই পরিবার বেড়ে বেড়ে পাঁচ বন্ধুর পরিবার – আমরা বলি পাঁচ পরিবার। এখন ৭টি সন্তানের পাঁচ মাও বাবা মিলে ১৭ জনের পরিবার। ২০১৪ তাঁদের ২৫ বছর। আজকের সময়ে একটি পরিবারই যেখানে এক থাকছে না, সেখানে পাচটা পরিবার একসঙ্গে থাকা কম কথা নয়,কি বলুন!)