... ...


শিশুদিবসে অনুষ্ঠান চলছে
জওহর শিশু ভবনের ছোট্ট প্রাঙ্গনে
কানায় কানায় ভরা
আছে শিশুরা, তাঁদের মায়েরা, বাবারা
দাদারা, দিদিরা, কাকারা...
চেয়ার খালি নেই একটাও।


মাইকে এক দাদু তখন বলে চলেছেন,
-আপনারা জানেন, আমার কোনও ছুটি নেই।
অফিস থেকে ঘরে ফেরার পরও
আমাকে নিয়ে বসে অফিসের কাজ।
তখন আমি একা।
বৌমা রিহার্সাল আর কাজ সেরে ফিরে এলে
খাবার টেবিলে নাতনীদের সঙ্গে দেখা হয়।
ততক্ষণে লেখা, পড়া আর পড়াশোনায়
ওরা ভীষণ ক্লান্ত।


জানেন, আমি গান শুনতে খুব ভালবাসি।
শুনেছি, আমার ছোট নাতনী ভাল গান গায়।
আমি কাজে ব্যস্ত থাকি, আর
ওরা পড়াশোনায় ক্লান্ত।
আমার আর ওর গান শোনা হয় না।
আপনারা ওকে বলুন,
ও যেন আমাকে গান শোনায়।
... ... ...
হায় রে! এতদিনে জানলাম, কেন
জ্যোতি বসুকে নিয়ে কবিতা লেখা হয় না।


কলকাতা,
৩০ মার্চ, ২০১৫


(সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জ্যোতি বসুর শেষ বছরের একটি ঘটনা আমার কাছে ওনাকে এক অন্য রূপে এনে দিয়েছিল। সেটিকেই কবিতায় বাধবার চেষ্টা করলাম, তাঁর শতবর্ষে)