!~


বিশ্বাসের কমতি ছিল? তাই কি কাঁপালে? অথচ, নীল পাহাড়ের
গায়ে ঝুলন্ত কালো মেঘে ঘোর লাগা স্বপ্নছবি আঁকা ছিল
পায়ে পায়ে লতাগুল্মে বাঁধা ছিল জাগতিক ভরসার ডোর
যতই পলকা হোক, কিছু মায়াও তো ঢেলেছিল ওরা!
তবু কেন ভূকম্পে যমদূত আসে! পাহাড়ের কি স্নেহ-মায়া নেই?
অথচ, হৃদয় গলিয়ে এত জল দেয় সে কোথা থেকে?


যাবতীয় কম্পনের পর চেয়ে দেখি রাতের আকাশ,
চোখ রাখি বনের সীমানায় ঝাপসা চাঁদের উদোম পীঠে
মাঠের আলপথে নির্দ্বিধায় হেঁটে চলে যায় সরিসৃপ
পেঁচা ডাকে, বুঝি কোনও ইঁদুরের সন্ধান মেলেনি আজ।
বিশ্বাস হারিয়ে ইট-কাঠ-শঠতার জঙ্গল ছেড়ে এই মাঠে
খুঁজি সেই হারানো বিশ্বাস প্রকৃতির কাছে নির্ঘুম রাতে


এক ফুরসতে মোহময়ী নিশা এসে কানে কানে ঢেলে যায়
সবুজ মন্ত্র – দুই প্রান্তে যার সঞ্চিত মুখ খোলা অমৃতকলস
বলে যায়, 'যত পার পান কর – হে মানবসন্তান, বাঁচো'
আঙ্গুল বুলিয়ে দগ্ধ কলিজায় জান আনে আদিম বাতাস
আপনিই খসে পড়ে যাবতীয় অপাংক্তেয় পোষাকের ভার
উন্মনা কদম-তমালের মাথায় তখনই অঝোর বৃষ্টি নামে
~!
পুজো সংখ্যার জন্যে, রিণা গিরিকে