ঈদের সপ্তক


বাঁকা চাঁদের ঐ যে হাসি


আত্মশুদ্ধির এমন মাসে
আত্মার সুখে সবাই হাসে,
মাগফিরাতের সুবোধ টানে
দো'য়া মাগি মোরা দু'হাত তুলে।


বাঁকা চাঁদের ঐ যে হাসি
সপ্তাবর্ণা আকাশ জুড়ে,
ফিরে এলো বছর ঘুরে
মিলনের ঐ শিকড় জুড়ে।


বাঁকা চাঁদের মিষ্টি বর্ণ
সোনামুনিরা যেন সোনালী স্বর্ণ।
আসবে নেমে ঈদের খুশি
মুসলমানদের ঐ ঘরে ঘরে।
=========


মায়া


এমনি মোহ মায়ায় ছুটছি সবাই শিকড়ের টানে। যে জন্ম সুধা। মাটির আপ্লুত সোদা টান। মায়ার বাসুমতি মাতুত্বের শৈশবের মায়া। মায়ার টান মাতার, পিতার, পিতামোহের। যে মায়ায় ধুলোমাখা শরীর নিয়ে উঠেছি কোলে; পা টলে, পরে যায় আবার আঙ্গুল চেঁপে সোজা হয়ে দাঁড়াবার বারং বার যাতনা সয়ে। অম্লমুধুর সুধা পানে, এ কোন অমৃত সুখ আনে?
=======


যদি আস ফিরে


যদি আস ফিরে,
দেখে যেও, সেই শৈশবের
খড়ের চালের বাড়ি।
উননের চালটা চালকুমড়ার গাছে ঢাকা
উনুনের দরজায় ঝুলে আছে
বুনো ধুমার ফালি।


উঠানের চার পাশ বেশ ক্ষয়ে গেছে
মাটি ধুসে গেছে;
ডালিম গাছটার
শিকড় বেড় হয়ে এখন একহারা।
কুয়াতলায়,
ইটের শরীর খসে খসে ক্ষয়ে গেছে
কলসের তলায় বেশ গভীর খন্দক।


বাড়ির আশে পাশে
পথ ঘাটের বেশ পরিবর্তন
আগের সেই উঠানের সমুখের পথটি এখন
মুছে গেছে;
বৌ কথা কও সজনে গাছটা আর নেই
কুয়াতলার কুয়ার পানি শুকে গেছে।
=======


মনে পরবে তোমায়


মনে পরবে তোমায় খুব
কৈশর প্রাণ ছোঁয়া বলে কথা!
জানি আসবে না কখনও
ফিরবে না আর
তোমার ব্যাতয় সোনালী পুরভা
এখন যে যাচে; নন্দন মোহ
এ মোহ ছাড় বার নয় যাপিত কালে
যদি পার মুছে ফেল!
চন্দনার মূর্হুতগুলো মনে করে করে
সাঁঝের লালিমায় যখন
জেগে উঠে ডাহুক ডাহুকী
সোদা মাটির গন্ধ স্নানে।
========


নিত্য বুনো প্রেম স্বেচ্ছায় বিলায়


যে ঝুল বারান্দায়,
আকাশ সঙ্গ! নিত্য বুনো প্রেম স্বেচ্ছায় বিলায়
সেই সান্নিধ্যে জেগে ছিলে বহুকাল।
এখনতো মেঘ প্রলাপ
বৃষ্টির ছোঁয়া আপ্লুত করে! নিরিবিলি দিনে রাতে
বহ্নিশিখার হাওয়ার মতো।


আপ্লুত মেঘ ঢলে পরে,
আদি অন্ত না জেনে! সিক্ততায় ডুবে মারে আকুলতা
যে ছোঁয়ায় আজও বাঁচা।


সেও তো বাঁচে
মেঘ বালিকার প্রবণচনায়! আক্ষরিক সুখ খুঁজে খুঁজে
নিঃস্ব সেই মেঘের বন্ধু বনে যায়।
=========


বহুকাল ধরে জেগে


বহুকাল ধরে জেগে
কেন জানি গুমোট?
আমার অতলান্তিক ঘর বাস।


নন্দন তার মোহ
ছুঁয়ে থাকে ক্লান্ত;
তাই বোধ হয় দূর্নিবার প্রদাহ
নিত্য পোড়ায় চিতার মোহ মায়ায়।
খিড়কি সোদা বন্ধ রাখি
যদি আলো ডুকে যায়
অপঃরাহ্নের!


যদি চোখের পাতা মুদে আসে
নন্দন মায়া যায় পালিয়ে;
বহুকাল ধরে জেগে
সমাপ্তির ইতিকথা টানব বলে।
=======


পথে চলি আর না চলি


পথে চলি আর না চলি। পথে যাই আর না যাই। তবুও আমি পথের ধুলায় নিত্য মাখি। পিছন ফিরে তাকাতেই, বালুয়ারি ধুলা আমার চোখে মুখে বৃষ্টির ছোটার মতো আপ্লুত করে। বালুয়ারি ঝেরে বেরিয়ে আসি নতুন পথের নিশায়। যদিও নতুন পথের দিশা কন্টকমুক্ত নয়। তয় পথের আলোয় জীবন বাঁচে। পথে চলা তাই মোহ মায়া খুঁজে ফিরে আপন দ্বারে।
==========
১৪২৪/০৮, আষাঢ়/বর্ষাকাল।