-চলে যেতে যেতে


চলে যেতে যেতে
পথে থমকে দাঁড়ালে তুমি
পিছন ফিরে তাকালে কতক বার?
সময় ধেয়ে বাতাস কানে কানে
কাগজ পোড়া গন্ধ যেন;
অতীত ভাঁজের পরতে পরতে
মাঝে মাঝে উঁইপোকার কুরে কুরে খাওয়ার
মৃত্তিকা ঘ্রাণে জানান দেয় তোমাকে;


সে দিন নিঃস্ব হয়ে কেঁদে ছিল
উঠানে পাতা ঝরা সজনে গাছটা
পুঁইমাচা, ডালিম গাছে টোনাটুনি
কুয়াতলায় আতা গাছ
সাদা লাউ ফুলে লাল ডানার ফড়িং
কেঁদে ছিল আরও কতক
ঘরের টুঁইয়ে বসে থাকা চড়ুই
ফিরে তাকাতেই
বদলে গেল সব,,,,


-জমানো অভিমান


জমানো অভিমান। কখন যে রুপ নিয়েছে বিগ্র দ্রোহ। সব করবে তচ্ছনচ্ছ। যেন প্রকৃতির ঝড়। বাতাস বিদ্রহ। সব ভাঙ্গবে এখন। গুড়িয়ে দিবে সব। যত্ন করে সাজানো ছিল যা। মায়ার টান। মায়ার আদরে জোড়ানো মমতা। ভালোবাসা প্রেম সুবেদী কালে জড়ানো। কতক ছিল অতিব গোপান। তার জন্য শুধু তারই,,,


-চিনলে না যারে


চিনলে না যারে
ফুরিয়ে যাবার আগে
সেথায় তখন কুঁড়ি ফোটার ঘ্রাণ
সদ্য দলে রং এ রাঙা চনমনিয়ে।


বিভাস ভৈরবে
সৌরভ ছড়িয়ে দ্বারে
তোমার রাঙা অভিমানের পরে।
চেনা পথে
চেনা হাওয়া ছুটে দলে দলে
ধরিতে নাই তারে
ছুঁয়ে দাও অনুরাগে।


দেখিবে তারে
লাজে রাঙা সরবরে ঢেউয়ের কিনারে
মত্ত জলকেলি জলে,,,


-প্রেম মনিহার


কি দিয়ে পুঁজিতে তারে?
সে তো ছিল স্বপ্ন ঘন আঁধার কুঞ্জু বনে, নীলাম্বরী বসনে
শত রাঙা রসে।
কুমুদিনী সনে নিত্য জোছনা অভিষারে
রাত্রি আঁধার প্রেম সুধা পানে মাতাল নেশায় বায়ু সনে
করিতে রঙ্গ সখী গনে।


মৃদুলা মেঘ রঙ্গে ঘুরে ঘুরে
নীলের অপারে সুবোধ প্রেম আঁখিতে তারে ধরে রাখে
যুগে যুগে এ যে তারই প্রেম মনিহার।


১৪২৫/ বৈশাখ/গ্রীষ্মকাল।