দৃশ্য পটে ঘন্টা


দৃশ্য পটে ঘন্টা বাজে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
কারে সুধায় এমন ধারা প্রতি পলে পলে?
চোখ খুলেলেই প্রকৃতি সব চেয়ে চেয়ে দেখে
মনের খিরকি আঁটা খিলে কে বা টোকা মারে?


দেখবার অবসরে নিত্য পুড়ি
কাগজ পোড়ার মতো;
কারে সুধাই ,কেন যে পুড়ি এমন করে?
না দেখলেও মন যে পুড়ে
দিগন্তে ঐ মরিচীকার মতো;
হাত বাড়ালেই পালিয়ে যায় দূরে
দৃশ্য পটে ছবি আঁকে কে বা?
মন জুরানো হাজার স্বপ্ন গাঁথা;
তাইতে মন ক্ষেপা বাউল ছুটে পথে পথে


দৃশ্যমান কে বা তারে ধরে?
ঘন্টা বাজিয়ে ক্ষণে ক্ষণে কি সে জানান দেয়?
সেই দৃশ্য বোনা পট যে তার আচমকা মিথ বুনে যায়
মিলিয়ে যায় হারিয়ে যায় মেইয়ে যায়,,,,


===সিকি আধুলি


কুড়িয়ে পাওয়া সিকি আধুলি
কয়েক টা মুক্তাও
পথিকের ছেঁড়া ঝোলায়।
পখের ধুলোয় খসে পড়া যে কারোর?
নন্দন ছোঁয়া ছিল ও গুলোর গা জুড়ে
এখন তা পথিকর ঝোলায়
আঁধারে কাপড়ে জড়ায়ে রয়
পথিকের মন নন্দিকতায় ছুঁয়ে যায়
কবে কার আধুলি সিকি মুক্তা অচল বটে?
তবুও সযত্নে রয় পথিক ভান্ডে
অনেক দিন পর গরিয়েছে বেলা
পথের ধারে পথিক তার ঝোলা খুলে
চশমার কাঁচ ঘুঁসে ঘুঁসে
কৃড়িয়ে পাওয়া আধুলি সিকি গা ডলে ডলে
চেনবার অপপ্রয়াস;
কত দিনের কোন আমলের?
দেখতে দেখতে সাঁঝ ঘনালে
তার ইচ্ছামান দৃশ্য ফুরিয়ে আসে
ঝোলায় পরে থাক; দৃশ্যপটের ইতি টেনে।


১৪২৫/০৩ বৈশাখ/গ্রীষ্মকাল।