=====একুশের নৈবদ্যে আমার শহর


একুশের নৈবদ্যে আমার শহর; প্রাণাঞ্জল
উচ্ছ্বলতায় ফাগুনের দক্ষিণা হাওয়া গায়ে মাখে
যেন উর্বশী উতলা সদ্য যৌবনা, আহল্লাদে
পলাশ শিমুলের রাঙা পাঁপড়িতে আমার শহর রাঙা।


আড়মোড়া ভেঙ্গে আমার শহরের আনাচে কানাচে
যেন সাপের খোলস এড়ানের মতো
মায়ের উতল মনে শান্তনা খুঁজে ফিরে কালে কালে
এই শহরে কবিদেেকে সাথে নিয়ে জেগে উঠে বার বার।
ফাগুন এসেছে আমের মকুলের সবাস যাচে
মায়ের বোলের এ কোন বেদনার শ্রদ্ধা সুধা?
শহীদ বেদীর মর্মমূলে এ যে রক্তের ইতি কথায় শহীদেরা কাঁদে
মায়ের আকুতি মাখা এ কোন গান আমার শহরে বাজে?
বেদনার পিঁড়িতে কবিতার অলঙ্কার ঝরে শহরের পিচঢালা পথে পথে
মাস ব্যাপি বই মেলা নতুন নতুন বইয়ের গন্ধ ভাসে দক্ষিণা বাতাসে।


শুদ্ধ রসে মজে শহর আমার ফাগুন এলে;
স্বাধীকার লড়াই পথ নাটকে শহিদ বেদী মুর্চ্ছা যায়
ইতিহাস চর্চায় শিল্পকলার নাট্য মঞ্চ নন্দন রুপে বলিয়ান হয়।
ছবির হাটে ছবির মেলা একুশ জুড়ে চারুর খেয়া
দুর্বাঘাসে পলাশ পাঁপড়ি ভালোবাসা আঁকে।
পাপলিক লাইব্রেবী খুলেছে দ্বার বুদ্ধির সুধা আহরণে
ফিল্ম ফেষ্টুনে কবিতার এ‌্যালবাম চারুকলায় নন্দন মোহ রংতুলির।


====== শহর কাঁদে


এমন কবিতার শহর
আলখেল্লায় গায়ে হেমিলিয়নের বাঁশিওয়ালা সাজে
রঙ্গিন ঝালরে বেদনা লুকিয়ে কাঁদে;


রাতে কাঁদে রাতভর কাঁদে
দিনে কাঁদে দিনভর কাঁদে
জোছনা রাতে জোছনা নিয়ে কাঁদে
কাঁদে আঁধার ঘনালেও অমাবশ্যা
লজ্জাবতী চুপসে যায় একটু ছোঁয়ায়
এমন কবিতার শহর লাজে মরমে মরে
ভাগারে কুকুরের কুঁই কুঁই আওয়াজ
ঝাক ঝাক কাকের অর্নব কোলাহল
তবুও পঞ্চমীর চাঁদে শহর কাঁদে
অষ্টাদশী যৌবন নিলামে লুট হয়ে যায়
শুধু ক্ষুধার অভিমানে বিকায় আনা কড়িতে
কবিতার শহর কাঁদে লজ্জায় অভিমানে


======= কাকতাড়ুয়া
তুমি আসবে বলে এই শহরে। কাকতাড়ুয়া বেশে পিচঢালা পথে হাঁটা। শঙ্খচিল ঠোঁটে এখন কবিতা। বিরহ বিষাদে শহরের আব্রুতে নন্দন রুপে মজে। তুমি আসবে বলে। ক্ষণজন্মা প্রেম মেঘের চাতালে মেঘে মেঘে ভাসে। পিচঢালা পথে তারই ছায়া। অনন্ত মোহ বেশে মিশে রয়। মিলিয়ে যায়। তোমারই বিরহ রোদনে। তুমি আসবে বলে।


১৩ ফাল্গুন/বসন্তকাল/১৪২৪