একদিন নদীর কাছে জলের কাছে


মেঘ ভাসে খিল খিল


শ্রাবণে বাদল
রিমঝিম বর্ষায়
ঝম ঝম বৃষ্টি।


পথ ঘাট
কাদা জলে
একি অনাসৃষ্টি?


ঝিকঝিক ঝকঝক
মাদল বাজায়
রেলগাড়ি।


নদীনালা বিলঝিল
মেঘ ভাসে
খিল খিল।
=====


ভরা বরষায় ঐ যে নদী


সোদা মাটির গন্ধ ভাসে
ঝরা বৃষ্টির প্রাতে, শুদ্ধ বানের জল ছোটে
মিহি ঢেউয়ের স্রোতে।


ভরা বরষায় ঐ যে নদী
উতল তার ভাসান অঙ্গ-ভূঙ্গী, মেঘ ভাসে ঐ কাঁরি কাঁরি
নদীর এপাড় ওপাড় দিচ্ছে আঁড়ি।


খেয়া নাও, জেলের নাও
দূর-দূরান্তে ঐ যে ভাসে, রঙ্গীন বাতাম তোলা মাস্তুলে
জলের ঢেউয়ে ভাসে আহল্লাদের চোখের জল।
========


তিতাসের ঐ যে পাড়ে


তিতাসের ঐ যে পাড়ে
ঐ যে ছোট্ট সবুজ গাঁও,
আগল খোলা ধুনচে বন
ভাসান বর্ষায় ভাসছে বান।


ঝম ঝম বৃষ্টি মাখা ধুনচে বনে
এলোমেলো হাওয়ার মৃদ লয়,
ডুব সাঁতারে ডুবছে দ্যাখো দূরন্ত কৈশর
তিতাস পাড়ের অনাবিল ঐ সুখ মাখে।


কুচুরি পানার বেগুনী ফুল
তিতাসের ঐ নদীর জলে
গঙ্গা ফড়িং মেলছে ডানা মেঘলা দিনে
ঘাস ফড়িং দল বাঁধে ঐ ধুনচে বনে।
======


খঞ্জনপুর


নাইওর যায় বহু দিন বাদে, ফেলে আসার ঐ জলছবি ভাসে। তাইতো ছঁইয়ের খিরকি তুলে, আর কত দুর বধুয়ার সেই খঞ্জনপুর? বাবা মায়ের আঁচল পাতা। ভাই বোনের ঐ সোহাগ মাখা। কাক ডাকা ভোরে সেই সজনে তলা। মায়ের আঁচল পাতা উনুন চালে কি চালকুমড়া হাসে চুন মাখা গায়ে? কুয়াতলায় কলাবতির ঝাড়। বাঁশ ঝাড়টায় সাদা বকের ঝাঁক। অবশেষ তিতাসের পাড়ে, আদর মাখা, মায়া মাখা বানের জলে কৈশরের জলছবি ঠাসা, সোদা মাটির গন্ধভরা খঞ্জনপুর।
=====


নন্দন কোলাহলে!


ডুবিয়েছে জলে সে,
নন্দন কোলাহলে! বৃষ্টির ছোটায়
অভিমানে মেঘের আঁড়ালে
এ কোন মেঘ বালিকা?
এমন বর্ষায় তৃঞ্চায় পোড়ায়!
ঐ যে ধূসর মেঘের আঁড়ালে
যেন লুকিয়ে লুকিয়ে বিজলী চমকায়ে
অধর সিক্ততায় বিহব্বল অভিমানে
তারই জলছবি;
নদীর স্বচ্ছ জলে মিহি ঢেউয়ে মিলিয়ে যায়
যেন মেঘ বালিকা মেঘের অপঃরাহ্ণে।


তারই আঁচল যেন
মেঘে মেঘে সারি সারি সাজে
যেন বৃষ্টির নর্তকী;
ভিজাবে বলে সৌরম্য নৌকার ছঁইয়ে উম্মাতালে ঝরে
ছাতার অভিমানে মিলিয়ে যায় জলে।
=======
১৪২৪/০৮, শ্রাবণ/বর্ষাকাল।