পথিক প্রাণ


হাটতে পথে অলি গলি
পথের বাঁক এদিক ওদিক চঞ্চল পথিক
কাঙাল বসন,  ধুলায় ধূসর জনারন্যে।


সেতো পাগল বেশ
কাঙাল বেশে তার কি রূপ ধরে?
কে তার বিরহে পুড়ে?
যে পুড়ে সেই জানে তার পথিকের কি রূপ হেরিয়া
মজে ছিল তারই পরম মন পরম আনান্দে
তুচ্ছ খুনসুঁটির ছলে মান অভিমান কত কি?
প্রতিক্ষণে পলকে পলকে তারে
মন চেতনার বানে;
দেহ রয় পরে যোজন যোজন দূরে
তবু তার প্রেম নাহি মুছে
তাই তো পথের ধারে আবেগ ঘন চোখ খুঁজে ফিরে
এই পথে কত পথিক হাঁটে?
সে যদি ফির কোন কালে? দেখব তবু এক নজর
তিয়াস মিটিবে তায়;
শুন্য চিরহরিৎ ভালোবাসা যে তার
আকন্ঠ ডুবে আছে যে, পথিক প্রাণ।
পথিক সনে, কই মোহ যে তার কাটে না?
একটু অভিমানে
মনে যে তার তাবর মোহ ঢালে।
পথিক একদিন তার মনে
কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহ ঢেলেছিল অতি সঙ্গোপনে
তাই তো তার অঙ্গজুড়ে
এ কোন নন্দন খেলা খেলে?
সুবোধ সংসার ধর্ম পানে রাধার প্রেম মেনে
মনে মনে বেশ পথিকের তরে
ভালোবাসার নীলাকাশ খুঁজে বাঁচার সান্তনায়
যদি পথিক ফিরে
এক নজর দেখার চেষ্টা যে কবে মিটে?


সেই বিরহে পথিক বসন আজ বেশ কাঙাল
আস্তিনের ঝোলায় মনি মুক্তা কই?
কিবা দিয়ে, কিবা দানে?
ভালোবাসার মুখটি একটু দেখতে পাই।
পথির সাধ ঢের গড়িয়ে গেছে
সুতায় গিঁট বেঁধে বেঁধে ক্ষয়িঞ্চুকাল যত দূর যায়
পথিকের পথ সেই সুদূর পরাহত
অনন্তলোকে সেই প্রেম সুধা যাচে; কাব্য গীতে কয়
এ কোন জনম আমার?
বৃথায় বয়ে যায়; সুধায় আকাশ নিলে
সুধায় পথের ধুলায়; সুধায় নদীর জলে
সুধায় বাতাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে


০৪ মাঘ/শীতকাল/১৪২৪