নন্দন বাসনার সভ্যতা
জীবনের রশদ তো তোর শরীর জুড়ে
তোর সবটুকু রস চুষে নিয়েছে নৈঃশব্দে
তোর আশ্রয়ে শুষ্ক বীজে অঙ্কুরোদগমের বাসনা।
সেই থেকে সবুজ বাসনায় পোড়া জীবনভর
আকাশ নীলে শুধু চেয়ে উদাস বিষ্ময়
তোর আশ্রয়ে যে প্রকৃতির রং লাগা স্বপ্নভ্রুম।
তোর শরীরেই তো ভাসা জলডুবা পদ্ম
তোর শরীরেই তো নৈরাবৎ শুষ্ক খোরা
তোর শরীরেই তো কিশোর যৌবন বাধ্যক্য
তোর শরীরেই তো মৃত্যু নিঃশেষ ষোলকলা।
তোর কাদা জলে, ধুলোর আবিরে
প্রাণীকূলের পাদুকার ছাঁপ আঁকে
রাত্রিদিনের বেলা শেষের গানে; কালে কালে
যুগে যুগে মহাকালের পথ পেরিয়ে
নন্দন বাসনার সভ্যতা; আর সেই
সভ্যতার পর সভ্যতা তোরই বুক আগলে বাঁচে।
১৪২৩/২৯ শ্রাবণ/বর্ষাকাল।