________অভিমান


এক সময় খুব অভিমান জমে ছিল; সহসা চাওয়ার প্রসন্ন বিস্তার
তুমি ভালোবাসলে না বলে; নক্ষত্রে আলো ঝুলে থাকার মতো
আবার এমনটাও হল; নিজের উপরও মেঘের ছায়ার মতো অভিমান
মেঘ দৌড় খিলখিলিয়ে হাসে; তোমারই চঞ্চলতার আঁকিবুকি আঁকে
সে তো ছিল ভাবনা উর্বসী; অভিমান তার শিকড় গেড়ে বসে ছিল
কত কথাই তো হয় চোখে চোখে আদি মোহ নেশা? স্বপ্ন পোড়া দিশা সময় ধরে


তবু একচিলতে অভিমান ছিল চাওয়ায়; কলঙ্ক বুকে চাঁদ এখনও পুড়ে
শুধু খুঁজলে না তুমি পিছন ফিরে; ঐ তো ঐ পথেই ছিল আরন্যক জোনাক বেদী।


_______আসনি ফিরে


কথা দিয়ে ছিলে তবু আসনি ফিরে
টলটলে জলে জলছবি দেখে; ভেবে ছিলে কি কিছু?
হেলেঞ্চার লতানো ডগায় অতীত কেন তন্দ্রা টুটে যায়?


সেই সোনাতন মুগ্ধতা নিয়ে
এখনও রয়ে গেলে অপঃরাহ্নের নরম আলো মতো; দিগন্ত বিহারে
একদল অভিমান লুকোচুরি খেলে।


ওরা খেলে খেলে ক্লান্ত হয়নি কখনও
জোনাক পোড়ার বেদীতেও; বেশ মুখচোরা অভিমানি তুমি
নিবে শতগুনে দিবে না মোটেও।


__________মুগ্ধতার আকর


তুমি তো ছিলে মুগ্ধতার আকর। ভালোবাসা বুঝলে না কি? শুধু পাতা ঝরার সিক্ততা শুনে ছিলে, শোনলে না মৌনতা বিবর। নীল জুড়ে স্বপ্ন নিলে, নিলে না নীল ঘন আঁধারে যাতনা লীন। তৃঞ্চা টেনে বৃষ্টি চাইলে, চাইলে না মেঘ অভিমান। পদ্যে পদ্যে প্রেম চাইলে, চাইলে না বিরহ যাতনা ঘোর।


______অভিমান তোমায়


অভিমানে রইলে পরে
কোন সে সাগর পাড়ে?
কত জলের মেঘ ভেসে যায়?
তৃঞ্চা শুধু বাড়ে।


আদি অন্ত না জেনে
পথিক পথ চলে
অভিমান তোমায় তেমনি পোড়ায়
ভালোবেসে ছিলে বলে।


পাতার বাঁশি বাতাস বীণা
জল তরঙ্গ নাচে
ভাসান ভেলায় বেহুলা কান্দে
যদি ভালোবাসা ফিরে।


১৪২৪/৫ পৌষ/শীতকাল।