===ক্ষত


মনের ক্ষত
আজ জলজ্যান্ত মরণব্যাধি রুপে; সর্বাঙ্গে বাসা বেধেছে
আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রাপ্ত লিপি
আলোচনা সাপেক্ষ্যে; এই ক্ষত এখন মণিমানিক্য যেন
তাকে নিয়ে এত এত যত্নআত্তি
বেশুমার করুণা সহযোগ।
ক্ষত তুই রইল এতকাল মনের মাঝে
চুপি চুপি পাইনি তো টের সুবোধ সেজে ছিলি!
কত কত দ্রোহ বিদ্রোহে জন্ম কি হয়েছিল তোর?
কই তার আঙ্গিক পাইনি তো কিছুই টের?


এখন যখন গ্রাস করেছিস
মনের সাথে দেহ লয়ে; চিতায় পোড়া বাঁকি
রইল কি আর? মন দেহ, হইল নাকি একাকার?
তাই বলি, ক্ষতরে তুই সাত রাজার ধন!
আদি অন্ত বুঝে কি করলি এমন ধারা?
না হলে যে দেহ মন হতো উদাস পারা।
মনের ক্ষত জানান দেয় দেহের নয় ছয়
পঞ্চরসে পুক্ত যে তাই ভবে দিশে হারা
হাজার তারায় ঐ ক্ষতটির গোলায় ঝুলে
মৃত্যু নামের নির্পাট ঐশ্যর্য্যের মালা;


===নিত্য আঁড়িপাতা


মনে মনে যেই ভাবা। ইচ্ছা তেড়ে আসে। সেখানটায় কি চাওয়া ছিল? ভাবা, চাওয়া, ইচ্ছার মর্মমূলে। ভাবতে ভাবতে কত কত কাল? যেন বৃষ্টির বিন্দু বিন্দু ফোটা। সাগর ভরে তাতেই নন্দন রুপ কথা। সেই কথাতো চাওয়া থাকে। সেই কথাতো ভাবনা রচে। সেই কথা তো ইচ্ছার ফুলঙ্কি। কথার মালা মনের সনে, নিত্য আঁড়িপাতা।


১৪২৪/বসন্তকাল/২৪ ফাল্গুন।