তোমার সেই প্রজাপতিটা


_____তোমার সিঁথান জুড়ে
তোমার সিঁথান জুড়ে, বহু কাল হতে গচ্ছিত
বিন্দু বিন্দু বালুয়ারি,  উর্ণব মাধুকরী হয়ে
মরুর দোলা চলে, ঘুরে ঘুরে কালে কালে
ছলনা মুর্ছনায় বর্ণময় প্রতাপ, এ কি ছলনা?
বলে, উবে যায় মিশে যায়, কালের মহাপ্রাণে
কত বার এপাশ ওপাশ? সিঁথানের মগ্নতায়
তবুও নিদ্রাগোলাক ঘুরে ফিরে, তন্দ্রায় জট বাঁধে।


_____তোমার সেই প্রজাপতিটা
তোমার সেই প্রজাপতিটা, বহুদিন বাদে আঁচলে তোমার
পরন্ত বেলার আলো আঁধারিতে, ছুঁয়ে দিল যত্নের দেরাজটায়
গচ্ছিত ভান্ডার নিজের আধুরি, কবে থেকে আগলে রাখা?
তার সূত্র নিঃশ্চয় তোমার জানা, তবুও অতীত ভ্রম বলে কথা!
তোমার সেই প্রজাপতিটা, খুব চেনা ছিল তারও।


______আয়না
কত কাল ধরে? আয়নায় মুখ লুকালে,
অথচ দ্যাখো প্রত্যহ, তোমার অবয়ব তোমারই রইল,
দেখেছো কি কখনো? আগাছায় জন্মায় বেলকুনির সহবোধ
আয়নার মতো অভিমান তোমায়, যাতনা নিল ঘিঁড়ে
ভুলে গেলে প্রেম মিথ্যা আশ্বাসে, আয়নায় মুখ ফিরালে
দেখলে কি এমন বদলেছে? পালিশ মালিশে ফিরবে আবার
তবে কেন আয়নায় মুখ লুকানো? এ যে স্বপ্নদ্রষ্টা পুনঃ পুনঃ জাগে।


_______হেঁটেে ছিলে তুমি
প্রজাপতি টাসা বনে; হেঁটেে ছিলে তুমি
স্যাঁতস্যাঁতে নির্জীব পথে, পাথর সময় ছিল
শৈশব থেকে যৌবনের আড়ম্বর, মরা পাতায় ডানা মেলা
প্রজাপতিরা উড়ে উড়ে বসে; প্রেম হোমানলে পুড়ে
বেলা শেষে আঁধার ঘনালে, জোছনা নামে আরধ্য বেসে
অবশেষে জোনাক রঙ ছড়ালে, তুমি ফিরে এলে অভিমানে
সিক্তভুমি জুড়ে যে বীজ, নিষিক্ত অভিলাষে
তোমারই আত্মজা বুনে যায়, হেঁটে ছিলে তুমি।


১৪২৪/৮, কার্তিক/হেমন্তকাল।