একটা মানুষ ছিল,
মানুষের বড় আপন হয়ে ছিল।
তারপর- করে গেল কর্ম,
সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করল নিজের দায়।
না- কোন ত্রুটিই ছিল না মানুষটার।
বিয়ে করলো, মেয়ে হলো,
বড় করে পড়াশুনা শেখালো,
ইংরেজী নিয়ে এম এ করলো,
পরিশেষে আত্মজাকে দিলো বিয়ে।
নিজে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে
বন্ধুবান্ধবদের সাথে মিলেমিশে
করে যাচ্ছিল মহান ব্রত সমাজ সেবা।
বড় আনন্দে কাটছিল অবসরকালীন সময়।
কালের প্রেক্ষাপটে- কোন ঝড়ে পড়লো
মানুষটা, দেহে অনুভূত হলও জ্বর। এ যে
সেই সরকার স্বীকৃত অজানা জ্বর। বিজ্ঞানের
ভাষায় কেউ কেউ যাকে বলে থাকে “ডেঙ্গু”।
মাত্র তিন দিনের জ্বর, চিকিৎসকরা কিছু বোঝার
আগেই চলে গেল কৌম্যায়, ভাঙ্গলো না আর সেই
কৌম্যার ঘুম।জীবন সংগ্রামের ইতি টেনে কপালে
পরাজয়ের তিলক পরে গভীর রাতে পাড়ি জমালো
সেই নিরুদ্দ্যেশের পথে। পশ্চাতে ফেলে গেলো তাঁর
আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুবান্ধবের চির পরিচিত জগৎ
-সংসার। আপনজনেরা যারা পড়ে রইলো তাঁদের
আর দেখবে কে? চোখের জলে ভাসলো তারা
গভীর বেদনায়। কে শুনবে? কে বুঝবে এই
আর্ত চিৎকারের মর্ম জ্বালা? কে দেবে সান্ত্বনা?
কোথায় খুঁজে পাবে তাঁরে? কোন ঠিকানায়?
এই কি জীবন? জন্মের পরে মৃত্যু আমরা
পাই বড় ভয়।


১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৪,
ইং ২৭/১১/২০১৭,
সোমবার, বিকেল ৪টা।