এই আমাদের মধুময় ভারতবর্ষ দেখেছে শুনেছে বিশ্ব
বিদ্যাসাগর মাইকেলকে করিয়া দান হয় নাই নিঃস্ব।
যত সে করেছে দান বাঁচাতে ওই সেই মহাপ্রাণ
পেয়েছে ফেরত তাহা লক্ষ গুণে এই জগতে সম্মান।


অনন্য সেই সৃষ্টির ধারা না পেয়েও হারায়নি যারা
যদি চেয়ে দেখে একবার পাবে খুঁজে সর্বত্র তাঁরা ।
যশোরের সেই সাগরদাড়ি বিশ্বের কাছে নিজ বাড়ি
ওই পড়েছে বুঝেছে যে- পারে নাই যেতে ছাড়ি।


শৈশবের সেই কপোতাক্ষ আজ হয়েছে আলোচনায় মুখ্য,
শেষে এসে তার কবিতা দিল নাড়া  হৃদয় তন্ত্রীতে সূক্ষ্ম।
দেশ-বিদেশ হতে আসে কত লোক পরশ পেতে
আমরাই যাইনি শুধু স্বর্গভূমে একটুখানি শ্বাস নিতে।


বাঙালির ওই বঙ্গভূমি কত লোক গেলো চুমি
যায় নাই মূর্খ যারা যেন আমি আর তুমি।
মনি মুক্তা কত রত্ন এনেছিলন তিনি করে যত্ন
তাই আজ জ্ঞানীগুনির কাছে হয়ে আছে প্রত্নতত্ত্ব।


কি ক্ষুরধার জ্ঞান তাঁর বইছে সাধনার ভার
শত কষ্ট বারে বারে পারে নাই রুখিতে তারে।
পিতৃ রোষে হতভাগ্য হলো পরিচিত ত্যাজ্য পুত্র বলে
অদম্য ইচ্ছা তাঁর চেয়েছে পৌঁছাতে মায়ের চরণ তলে।


পেয়েছে চরণে ঠাঁই, মা ঠেলে দেয় নাই তাই
ধন্য মা, ধন্য সন্তান, আর ধন্য হল জগজ্জন।
ধর্মজাত সব ত্যাজিয়া নিয়েছিল এই বিশ্ব জিনিয়া
হলো ধন্য বাঙালি জাত ছন্দ রূপে বাংলা চিনিয়া।


মাইকেল রবীন্দ্র নজরুল অন্য কবিরাও বাংলায় ফুটায়েছে ফুল
তাইতো বাংলা ভাষা মধুর ভাষা নয় কেউ সমতুল।
গর্ব করে বলি তাই বাঙালি আমরা ভাই ভাই
এমনি করেই এই জগতে আমরা সবাই বাঁচতে চাই।


১১ই ফাল্গুন, ১৪৩০,
ইং ২৪/০২/২০২৪,
শনিবার সকাল ৮:৩৬।২২৯২, ২০/১২৬, ২৮/০২/২০২৪।