আজ হতে শত বর্ষ আগে,
তুমি রবি রচে ছিলে যে কবিতাখানি;
আমি পড়িতেছি চোদ্দোশ সালের শেষ দিনে,
কৌতুহল ভরে;
সেই হতে শত বর্ষ পরে।
তুমি চেয়েছিলে দিতে,
তোমার আনন্দ ভাগ;
পেয়েছি আমি হেথা,
তব আশির্ব্বাদ ধন্য রক্তরাগ।
তুমি সে দিন দেখেছিলে যেমনটি-
বসন্তের হাসি;
পনেরোশ সালের অভ্যর্থনায় অনুভবি,
তেমনটি একাকী বসি।
তোমার নির্দেশ মত, খুলিয়া দক্ষিন দ্বার,
বসি বাতায়নে;
সুদুর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি,
তোমার কথা ভাবি মনে মনে।
ওগো বিশ্বকবি-
চোদ্দশ সালের শেষ দিনে,
অনুভবি তব কল্পনার ছবি।
এই শতকের প্রথম ভাগে-
বসন্ত যেমন ছিল তব পাশে ধরা দিল;
আজ এই দিনে-মোর কাছে তেমনটি লাগে,
যেমনটি ছিল- আজ হতে শতবর্ষ আগে।
আজও বসন্ত আসে মর্মের ধ্বনি তুলি;
তারুন্যে ভরে দিয়ে যায়,
হৃদয়ের শূন্য ঝুলি।
তেমনি ফাগুণের সমীরণ বহে,
এখন ও হৃদয় দহে,
যৌবনের রাগে;
যেমনটি ছিল আজ হতে শতবর্ষ আগে।
কোন কবি করিবে কি গান,
আমার মত লয়ে তব সুরতান;
এই বাংলার ঘরে-
আজ হতে শতবর্ষ পরে ।
পাঠায়ে দিলাম তার করে,
তোমার বসন্তের গান, তার বসন্ত দিনে,
ধ্বনিত হউক ক্ষনতরে;
যেন হৃদয় স্পন্দনে তার ভ্রমরগুঞ্জনে নব-
পল্লব মর্মরে,
আজ হতে শতবর্ষ পরে।
আজ এই বসন্ত দিনে,
ওগো কবি হয়ে ফুল ছবি,
আমারে ভাসাও হৃদয় তানে।
তোমারে স্মরিয়া প্রাণ ভরিয়া-
গাহিব নব নব গান;
ছন্দ ধারায় ভরুক ধরা,
গেয়ে নব নব তান।
৩১শে চৈত্র, ১৪০০,
ইং ১৪/০৪/১৯৯৪,
বৃহস্পতিবার,
রাত ১১.১০,
শিলবারি, আসাম।