হঠাৎ আলাপন,
চল ঘুরে আসি বারানসী হতে,
কেন নয় সমুদ্র তটে?
কেন নয় পাহাড় পর্বতে?


শেষ বেলা দিল নাড়া,
         এ কোন আঁধার?
বসে ভাবি, বুঝি গেল-
         ছিড়ে যৌবনের তার।


প্রভাতের সুর্য্যালোকে-
       কত আলো, কত হাওয়া;
জীবনের চলার পথে-
       কত রাগে গান গাওয়া।


ক্রমে ক্রমে স্তিমিত জীবনের আলো,
       আঁধার নামিছে ধীরে;
তাই বুঝি সাড়া দিল আপন হৃদয়ে
     কি পাব ঐ বারানসী তীরে?


গঙ্গার তীরে ঐ বারানসী ঘাট,
      স্মরণীয়- ইতিহাস জোড়া;
যুগে যুগে ঐ বৈতরনী হাট,
      ত্যাগের আস্তরনে মোড়া।


ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর,
                ঐ সেই বারানসী;
রাজা হরিশ্চন্দ্র, রানী শৈব্যার দীর্ঘশ্বাস,
           হেথায় মিলিছে আসি।


গঙ্গা আজো স্রোতস্বিনী কত চোখের জলে,
             নীরবে সেই কাহিনী কথা কয়;
কত সন্তান হারা মায়ের অশ্রুধারা,
                          এখনও হেথায় বয়।


মিছে মনে হয় জীবনের ব্রত,
                      মিছে মনে হয় সকলি;
তবুও হৃদয় দু-বাহু জড়ায়ে,
                  ধরিয়া রেখেছে আকুলি।