ঘর থেকে বেরিয়ে পথে চলতে চলতে-মোড়ে এসে,
তার সাথে দেখা। জিজ্ঞেস করলাম-কোথা যাবে তুমি?
সহজ সরল উত্তর দিল মোরে,যাবো সেই দিকে যেই
দিকে পথ টেনে নেবে মোরে। পথে চলতে চলতে যদি-
শ্রান্ত হোয়ে পড়ি, জিরিয়ে নেবো ঐ তমাল গাছের তলে;
শ্রান্ত পথিকের শান্তির নীড় যাকে বলে। নয়তোবা- সবুজ
ঘেরা বনলতার বেড়া ঐ শান্ত দিঘির পাড়ে, যেথায় পাখীরা
কূজনে কূজনে ভরে দেবে মোহময় সুরতানে। ঘাটে আসা জলে
ভাসা যুবতীর প্রান পরশে বসন্তের বাতাস, গেয়ে ওঠে গান-
আকূল পরান নাচে বন্ধুর আশে। গাছে গাছে সবুজ পাতা আর
ডালে ডালে ফুল বলে দেয় আসবে বন্ধু তোমার, সে করবেনা
ভুল।হেথায় উঠবেনা ঝড় ভাঙ্গবেনা নীড়, ভ্রমরের গুঞ্জন-
শোনা যাবে ফুলে ফুলে, কোকিল ডাকিবে ডালে ডালে,
আহ্বানে বসন্ত বঁধুর। যেখানে হাতে হাত রেখে, আঁখি মুদে  
অনুভব করা যায় কালের গতিকে পলে পলে। তেষ্টা পেলে
আঁজলা ভরে তৃষ্ণা মেটাতে পাবোনা ভয়। এমন বাসে বিশ্রাম শেষে
আবার চলতে হবে পথে ধীরে ধীরে সময় ও কালে ভর করে পৌছাব
যেথা-সেই আমার গন্তব্য; জীবনের পথ চলা শেষ হবে হেথা।


৬ই ফাল্গুন, ১৪২৩,
ইং ১৮/০২/২০১৭,
শনিবার, ভোর ৫টা।