জন্ম যদি দিলে তুমি,
মৃত্যু কেন দিলে?
জীবন পথের আনন্দ সুখ,
সব কেড়ে নিলে।
বাবা দিলে মা দিলে,
দিলে আপনজন;
ভাই দিলে বোন দিলে,
দিলে আত্মীয়স্বজন।
স্নেহ দিলে মমতা দিলে,
আর ভালবাসা যত;
আত্মার আত্মীয় দিলে,
হাতে বাকী আছে কত?
জীবনে তরঙ্গ দিলে,
প্রবাহিত নদী;
সেই নদে নাও ভাসাই,
আমি কভু যদি।
কার নায়ে পাড়ি দেব?
কে ধরিবে হাল?
কার হাতে ছেড়ে দেবো?
কে তুলিবে পাল?
পেয়েও না পাওয়ার ব্যথা,
বারে বারে বাজে;
আপন যে পর হয়,
জীবনের সাজে।
শৈশব, কৈশোর যৌবন কাটে,
হাসি খেলার ছলে;
বৃদ্ধ বয়সে ভাটির টানে,
সব হারাবো বলে।
হাল ভাঙ্গবে, পাল ছিঁড়বে,
ভাঙ্গবে বুকের পাঁজর;
একে একে সবাই যাবে,
থাকবে না সে জোর।
জীব চেতনা জড় হবে,
শেষের সেই দিন;
দেওয়া নেওয়া শূন্য হবে,
থাকবেনা আর ঋন।
১০ই ফাল্গুন, ১৪২৩,
ইং ২২শে ফেব্রুয়ারী,২০১৭,
বুধবার, রাত ১২টা।
এই কবিতাটা উৎসর্গ করলাম-
আমার প্রিয় প্রফুল্লদাকে যিনি আজ বিকেল ৪.৩০ এ আমাদের মায়াত্যাগ করে পরলোক গমন করেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।