ওই আনন্দে মানুষ জীবনানন্দ
রবির কিরণে ভাস্বর;
তাঁর চিত্তে চেতন ছিল ভরপুর
জানতো জীবনটা নশ্বর।


লেখনী তাঁহার ভ্রমিছে বাংলা
সুন্দর প্রকৃতির মাঝে;
গ্রামগঞ্জ আর ওই খাল বিল
অনন্য সেই রাজে।


পিতা সত্যানন্দ মাতা কুসুমকুমারী
সার্থক জনম তাঁর;
সমুজ্জ্বল করেছে আমাদের  বাংলা
এবং মাতা পিতার ঘর।


মায়ের লেখনি উৎসাহ দিত
হতে হবে বড় তাঁরে;
উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই
দৃঢ় মনে ধীরে ধীরে।


লিখেছে মা "আমাদের দেশে হবে
সেই ছেলে কবে;
কথায় না বড় হয়ে
কাজে বড় হবে"?


হয়ে এমন মায়ের ছেলে
পেয়েছে আনন্দ ফিরে;
ছড়ায়েছে সৌরভ চারিদিকে
এই বাংলার ঘরে ঘরে।


হিজলের ডালে, শালিকের ডাক
বসন্তের কোকিল সম;
ফড়িংয়ের খেলা জলের উপর
এই বাংলার রূপ মম।


ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায়
সবুজ সমুদ্র দেখি;
কেন জাগে না সেই মনোপ্রান
মাতৃভাষায় কিছু শিখি?


এই রূপসী বাংলার রূপের বাহার
দেখেছ কি আর অন্য?
পাবে না খুঁজে জেনে রাখ বুঝে
আমরা হয়েছি ধন্য।


রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, মাইকেল, জসিম উদ্দিন,
ছিল এই বাংলার ছেলে;
সাহিত্য সাধনায় বাংলা মাকে
কত রত্নই না তাঁরা  দিলে।


ওই মনি, মুক্তা, হীরা, জহরত,
নাই অভাব এই বাংলায়;
জন্মেছি আমরা সেই মায়ের কোলে
পেয়েছি অনেক তাঁর ভালোবাসায়।


রূপসী বাংলা, ভাষা বাংলা,
বড় মধুর মায়ের রূপ;
সাধনার মাঝে তাঁর সন্তানরা
জ্বালায়েছে সুগন্ধি ধূপ।


ভর ভর গন্ধ মন্দমধুর
বসন্তের ছোয়া দিয়ে;
মনঃপ্রাণ আজ সার্থক হলো
প্রাণের আবেশ  পেয়ে।


১৪ই বৈশাখ, ১৪৩০,
ইং ২৮-০৪-২০২৩,
শুক্রবার সকাল ৮:০৯। ২০০০,০৭/০৫/২০২৩।