ত্যজিয়া সংসার মায়া, সন্ন্যাস নিলো,
প্রকৃতির প্রেমে ভেসে;
শুধু ধুঁ ধুঁ বালুচর, সাগরের পার,
আশ্রয় নিলো এসে।
ভালবেসে তাঁরে প্রকৃতির ভারে,
বৃক্ষ রোপণ শুরু;
ধীরে ধীরে হলো শান্তি মহারাজ,
সাগর পারের গুরু।
মনের মাঝে কত কথা রাজে,
অতীতের সব ব্যথা;
মায়ের স্মৃতি, পিতার স্মৃতি,
ভীড় করে সব কথা।
“শ্বরশ্বরী শশ্মান কালী মন্দির আশ্রম” হলো,
অনেক-অনেক কষ্ট করে;
স্বাধীনতার স্মৃতি মনো বিবৃতি,
পেয়েছে তাঁহারে ধরে।
যাঁরা জীবন দিল, তাঁরাও পেল,
স্মৃতিতে আশ্রয় হেথা;
শ্রদ্ধার সাথে নতঃমস্তকে-
মহারাজ-বলেন তাঁদের কথা।
মুক্ত দেশের মুক্ত নাগরিক হলাম,
স্বাধীনতা সংগ্রামীর রক্তদানে;
মহারাজ বলেন, “মা-বাবারা যেমন-
জন্ম দিয়েছে সন্তানে”।
আমরা এমন সাধক দেখিনিত আর-
এই বিশ্ব জগৎ জুড়ে;
মনের মাঝে সবুজ ধরণীর স্বপ্ন দেখেন,
তিনি একটু একটু করে।
সাগর মেলার সেই শুষ্ক বালুচর,
ধীরে ধীরে সবুজায়ন হলো;
শান্তি মহারাজ, শান্তি মহারাজ,
জয় জয় সবে বলো।
-চিত্ত রঞ্জন সরকার,
২০শে কার্তিক, ১৪২৪,
ইং ০৭/১১/২০১৭,