ভাবণা- ঐ চেতন চিত্তে,
যে খেলা খেলিছে বৃত্তে,
কোথা তার উৎপত্তিস্থল?
কি করে এলো যে সে,
একবার মিলায়ে নে-
দেহের সেই গোপন কৌশল।
যে ঘটনা ঘটেছিল=
সৃষ্টির মহা-বিস্ফোরণের কালে,
ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম পদার্থের বলে।
অদৃশ্য কনার মাঝে,
ঘটেছিল অনন্য সেই বিস্ফোরণ,
যাহা ছিল এই মহাবিশ্বের জীবন-মরণ।
সৃষ্টি হলো নতুন কনার ঘন কুয়াশা,
অদৃশ্য সেই কনাগুলোই-
ক্রমে জাগাল জীবনের আশা।
ঐ কণা থেকেই সৃষ্টি হলো এই জীবন,
সে-ই, আজ ফিরে দেখতে চায়,
অতীত বিস্ফোরণের, সৃষ্টির কারন।
সেই একই ধারা বয়ে চলে জগৎময়,
বারেবারে, ঘুরেঘুরে, জীবনের মাঝে,
আদি থেকে ঐ সেই অনন্তের দিকে।
চেতনার ঐ সূক্ষ্ম চৈতন্যে,
মনের মাঝে আবার হলো বিস্ফোরণ,
তাই বুঝি বিন্দু থেকে সিন্ধুর উত্তরণ।
কোন পথে ভাবনা যাবে-
কোন পথ ঠিক-
অলক্ষ্যেই সে নিজের মত হয়েছে নির্ভিক।
নিরাকার সে আকার পাবে,
ভাবনার বটবৃক্ষের তলে,
সেই সৃষ্টির চেতনার চৈতন্যের ফলে।
৭ই আশ্বিন, ১৪২৪,
ইং ২৪/০৯/২০১৭,
রবিবার, রাত ৩টা।