আমরা না ছিলাম হিন্দু, না ছিলাম মুসলিম,না ছিলাম বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান।
ছিলাম সনাতন বিশ্বাসী মানুষ। সেই ছিল আদিম প্রতিষ্ঠান। হিন্দুকুষ
পর্বতমালার পথ ধরে যাঁরা এসেছিলেন এই ভু-খন্ডে জীবন জীবিকার
সন্ধানে  তাঁরা কারা? ইতিহাস ক্ষেত হিন্দু তো তাঁরা। ঐ মানুষগুলো
মুলত: এসেছিলেন মিশর, ইরাক, ইরান, পারস্য কিংবা আফগানিস্তান
থেকে। এরা ছিলেন ঐ দেশগুলোর যাযাবর শ্রেণীর লোক। বলতে পারি
হত-দরিদ্র শ্রেণীভুক্ত, আর যারা পূর্বাঞ্চলে এসেছিলেন জীবন জীবিকার
সন্ধানে তাঁরা ছিলেন চৈনিক, তিব্বতীয় আর বার্মীজ।এরা ছিলেন -
অস্ট্রোএশিয়াটিক ভাষা- ভাষি। এখন প্রশ্ন হলো- তাহলে আমরা কারা?
ক্ষমতার লোভে বিভেদের বুলি আওড়াছেন যারা তাঁরা কী একটু ভেবে
দেখবেন, তাদের পূর্ব পুরুষদের পরিচয়টা তবে কি? ভারতবর্ষ ছিল অখণ্ড
একটুকরো ভূখণ্ড যেন একই সূতায় নানান ফুলের সমন্বয়ে গাঁথা  একটা
একটা সুন্দর মালা। ক্ষমতার লোভে হলো তিন টুকরা। আগামীতে এই
দেশ কি রাশিয়ার মতো কোনো বহি:শত্রুর  ইন্ধনে বন্ধন চ্যুতি ঘটবে?
জন্ম নেবে আবার কী গর্বাচভরা আমাদের  দেশগুলোতে? অনেক রক্তে
রাঙ্গা লাল গোলাপের  বিনিময়ে অর্জিত এই মালা তিনটি যেন ছিড়ে না
যায়। যদি ছিড়ে যায় তাহলে মৌলবাদের আঁধার আসবে নেমে এই দেশে।
যদি পারতাম তিনটি মালাকে এক সাথে করে আবার একটা মালা গাঁথতে,
তাহলে ধন্য হতাম আমরা সবাই হতে পারতাম একই মায়ের সন্তান ভাই-ভাই।
ভাল স্বপ্ন দেখতে তো মানা নাই।


১৮ই চৈত্র, ১৪২৪,
ইং ০২/০৪/২০১৮,
সোমবার, দূপুর ১২টা