শহরের পথে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত যখন আমি,
       গ্রামে ফেরার ডাক যে তখন শুনি!


      গ্রাম ছেড়েছি বহুদিন হলো
         আছি বহুক্রোশ দূরে,
        ক্লান্ত মন তবু যে আজ
      শুধু যেতে চাই ফিরে ফিরে।


         গ্রামের মেঠপথ ধরে
          হেটেছি কতনা দূর,
       গান গেয়েছি গলা ছেড়ে
          যদিও ছিলনা সুর!


    সকাল হলে পাখির কলতান
          শুনতাম প্রাণ ভরে,
        কাকের কর্কশ ডাকে
   এখন গুম ভেঙ্গে যায় খুব ভোরে!


     শীতের সময় খেজুর রস, মুড়ি
            আর মায়ের আদর
           যেত একসাথে মিশে,
     সেই স্বাদ আজ পাই বল কিসে?


        পিঠা-পায়েসের স্বাদ আজ,
              মনে যে পড়ে খুব!
        মাঝে মাঝে তুলে আনি তা,
         দিয়ে স্মৃতির সাগরে ডুব।


         শিমুল ফুল কুড়িয়েছি
         আজ কত বছর হলো?
    স্মৃতির পাতায় আজও সে স্মৃতি
         করে যে জ্বলো জ্বলো।


    বৈশাখ মাসের কাল বৈশাখি
     আর জাগায় না মনে ভয়!
   শহরের ইট,কাঠ আর পাথর
        করেছে যে তার জয়।


   তারপরেও শহরে আসে বৈশাখ,
          হয় কাল বৈশাখি ঝড়,
            মনে জাগেনা ভয়,
তবু হৃদয় কেনো যে কাঁপে থরথর!


            শহুরে বর্ষার রূপ
           হয় কি গ্রামের মত?
         বর্ষার সেই রূপ লিখে
    কত যে কবি হয়েছে জগত-খ্যাত!


            বর্ষার সেই রূপ
        আমিও যায়নি ভুলে,
      স্মৃতির পাতায় সে রূপ
         যত্নে রেখেছি তুলে।


    গ্রামের সেসব স্মৃতি পড়ছে মনে,
    কেনো জানি আজ ক্ষণে ক্ষণে!
                আনমনে তাই,
জলে চোখ ভিজে যায় জম্নভূমির টানে।