সারাদিন গরুর মত পরিশ্রম করে
যখন দু'বেলা দু'মুঠো ভাত জোটে না,
তখন খাদ্য গুদাম লুট করতে ইচ্ছে হয়।
মেধা থাকার পরেও
-যখন বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়না,
তখন স্কুল-কলেজগুলোই বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে হয়।
এক টুকরো কাপড়ের অভাবে যখন প্রায় উলঙ্গ থাকি আমি,
তখন সমস্থ পোশাক কারখানায় আগুন দিতে ইচ্ছে হয়।
চিকিৎসার অভাবে যখন মৃত্যুযণ্ত্রনায় ছোটফোট করি,
তখন হাসপাতালগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে হয়।
সকল যোগ্যতা থাকার পরেও যখন চাকরী পায়না,
তখন অফিসগুলোই তালা ঝুলিয়ে দিতে ইচ্ছে হয়।
এমন অনেক ইচ্ছেই আমার হয়-
যা বাস্তবায়ন করলে আমি হয়ে যাবো চরম রাষ্ট্রদ্রোহী,
সাংবিধানিকভাবে আমাকে হত্যা করা হবে।
তবে যেনো রেখো আমার ভেতরে জমতে থাকা
-ক্ষোভের আগুন একদিন তোমাদের পুড়িয়ে মারবে,
সেদিন তোমাদের শরীরের পোড়া মাংস খুবলে খাবো আমি,
তারপরেই না হাজার বছরের পুন্জিভূত ক্ষোভ মিটবে আমার,
আর তোমাদের কঙ্কালকে টাঙিয়ে রাখবো চৌরাস্তার মোড়ে,
তারপর তোমাদের সমস্থ সংবিধান সাগরে নিক্ষেপ করে
নতুন সংবিধান রচনা করতে বসবো-
যেখানে থাকবে ক্ষুদার জন্য খাদ্য গুদাম লুট করার অধীকার।
মেধা থাকার পরেও পড়বার সুযোগ না পেলে,
বিদ্যালয়গুলোতে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার অধীকার।
কাপড়ের অভাবে উলঙ্গ থাকলে,
পোষাক কারখানায় আগুন দেওয়ার অধীকার।
চিকিৎসা না পেলে হাসপাতালগুলো ভেঙ্গে-গুড়িয়ে ফেলার অধীকার।
যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরী না পেলে,
অফিসগুলোই তালা লাগানোর অধীকার।
সেদিন তোমাদের কঙ্কালগুলোও মুক্তির স্বাদ পেয়ে নেচে উঠবে,
আর চিৎকার করে বলে উঠবে-
জয় হোক মানবতার, জয় হোক মনুষত্বের,
সর্বোপরি মানুষের জয় হোক।