আকাশ ভরা মেঘ দেখে আজ
মন যে প্রমাদ গোনে
বিস্তর কাজ রয়েছে পড়ে
প্রিয়া কি তা জানে?


গত রাত্রি’র মহাভোজে
ঘর তো লন্ড ভন্ড
বেসিন টা আজ বাসন বোঝাই
তেলে ঝোলে প্রচন্ড


ঘরের মেঝে, খুশি’র দাগে
করছে যে জ্বল জ্বল
অসাবধানে পা ফেললেই
পপাত ধরণীতল


এমন দিনে কেমন করে
প্রিয়া রে আজ ডাকি
প্রিয়া’র প্রয়োজন টা বড়
দেবে না তো ফাঁকি


বৃষ্টি এলো বলে এবার
প্রিয়া’র দেখা নাই
উদাস মনে থাকি চেয়ে
খোলা জানালায়


এমন সময় দিলেন দেখা
হাতে নিয়ে ছাতা
দৃপ্ত তাহার হাঁটার ভঙ্গি
চুলভর্তি মাথা


পটল চেরা চক্ষু যুগল
পটল গুলো খাটো
স্ফিত তাহার নাসিকা টি
আকার কিছু ছোট


কোমড় পেরে শাড়ি টি তার
আলতো আঁচল টানা
অবাক চোখে দেখতে তাকে
বৌ করেনি মানা


সুললিত বাজে সে সুর
ডোরের ডাক ঘন্টা
মহানন্দে যাই যে ছুটে
মানতে না চায় মনটা


আমায় দেখে দোক্তা খাওয়া
দাঁত গুলো কে মেলে
দুলিয়ে কোমর, চলেন তিনি
আমাদের হেঁসেলে


সবে মাত্র পাঁচ গুনেছি
হলো বজ্রপাত
পিছল মেঝে দেখালো খেল
প্রিয়া আমার কাত


তৎসহ তা’র মধুর বচন
কানে মধু ঢালে
হাসি চেপে, কাতর চোখে
দুঃখ জানাই কালে


খেপলে প্রিয়া, বাসন গুলো’র
হবে না যে ঠাঁই
দৃশ্য এবং গন্ধ দূষণ
থাকবে পুরো তাই


দাদা বাবু’র করুন চোখে
শ্যেনদৃষ্টি হেনে
নিজেকে সে কোন মতে
তুললো এবার টেনে


সাবধানেতে পা ফেলে যেই
রান্নাঘরে যান
দাদাবাবু গুনগুনিয়ে
চেয়ার এ এলান