অনন্ত ফায়ারের বিষাদে হই যদি গুলিবিদ্ধ
তবে বিদ্যা মলম লাগালে হবে তুমি ব্যথামুক্ত
যে ভাষার মাঝে ভালোবেসে লুকিয়ে আছে না-ভাষার নন্দনতত্ত্ব
যা আসলে নৈঃশব্দ আকারে তার ধূসর বা বর্ণময় চিত্র
যদি কোনো দৃশ্যের কাছে জীবনের জ্যোৎস্না হয়ে যায় স্তব্ধ
তবে মুহূর্তেই নাভিমূলের উঠে আসা দীর্ঘশ্বাস  তোমায় করবে জব্দ
সময়ে চোখের জরুরি চিহ্ন যদি ফুরিয়ে আসে তোমার
ভালোবেসে ভেবে দেখেছো কী কার সাথে সংযোগস্থাপন হবে আবার
বিদ্যার ঢেউ ভালোবেসে জীবনে ফিরে আসে বার বার
তবুও আমাকে ধাক্কা দিতে না পেরে একরাশ অভিমান সম্বল তার
বিদ্যাকে ভাল না বেসে যদি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করি এক অন্ধত্বের আস্তরণ
তবে নানা স্পর্শ ও হাহাকারের মাঝে কাটবে নিঃসঙ্গ জীবন
বিদ্যাকে ভালোবেসে নক্ষত্র জন্ম নেয় শিশুরূপে
আর আমার অবহেলা অনাদরে মৃত্যুর দিন আমায় ডাকে
নির্মম নিখুঁত প্রতিভায় ভালোবেসে শিশু যদি গড়ে উঠে
তবে শত হাজার ঝড়েও একটুও টলবে না তার লক্ষ্য থেকে
জীবনের আঁকাবাঁকা রাস্তায় ভালোবেসে পড়ে রইলো হাজার স্মৃতি
তবুও ভালোবেসে তুলতে পারলাম না সেই রত্নখানি।



সংগ্রহ : আদর্শ লিপি, ধর্মগ্রন্থ, পত্র পত্রিকা