ভগবান তুমি কার, আছো তুমি সবার মাঝে
খুঁজে পাই না জ্ঞানকে ভালোবাসার অভাবে


হার জগতের হিসেব পরের কথা
জ্ঞানকে ভালোবাসাই হোক প্রথম কথা
জ্ঞান কেমন তোমার গড়ন
ন্যায্য বিষয় বিচারে তুমি নাকি নিপুণ
বিদ্যা যদি জ্ঞানদাতা হয়
তবে ভালোবাসতে নিষেধ কে বা কয়
বেদ বিদ্যা হইলেও তার আকার আছে
জ্ঞানকে ভালোবেসে তা বুঝতে সহজ হবে
জ্ঞানকে ভালোবাসতে না চাইলে
মন তার নির্দয়তায় পূর্ণ হবে
জ্ঞান শাস্ত্র সকল পুষ্প স্বরূপ  
ভালোবেসে যোগধর্ম হয় তাহার সারোদ্ধার মধুস্বরূপ
ভালোবেসে শাস্ত্রজ্ঞানের ফল হয় বৈরাগ্য
আর বৈরাগ্যই প্রকৃত ধর্ম সঞ্চারের মূল বলে জানো
জ্ঞানকে ভালোবেসে ধর্ম যদি যোগের কারণ হয়
তবে যোগ হইতে শৈবগুন প্রাপ্তি কয়
মহাকাল কুটবিষ কণ্ঠে রেখে তার শক্তি জীর্ণ করা
আর জ্ঞানকে ভালোবেসে তার সাথে বাস করা একই কথা
জ্ঞানকে ভালোবাসার ঐশ্বর্য যত
অভক্ত ও ভক্ত সকলের প্রতিই সমদৃষ্টিসম্পন্ন।


সংগ্রহ : আদর্শ লিপি, ধর্মগ্রন্থ, পত্র পত্রিকা