সকলে ডাকে রত্নাবলী, আমি বলি রক্তাবলী
আদুরে ছুটকি, দুপাশে দুটি ছোট্ট বিনুনী দুলিয়ে
ইনিয়ে-বিনিয়ে লাজুক চোখে কথা বলে
কল-কল-কল কলরবে মাতিয়ে রাখে সারাটা বাড়ি
ঝকঝকে দাঁতের হাসি যেন ভোরের ফুল
মা সারাটা দিন আউড়ে চলেছেন
রত্নাবলী অত হাসতে নেই, তুমি বড় হচ্ছ
রত্নাবলী ততোধিক হাসে, হাসতে-হাসতে গড়িয়ে পড়ে
শীত থেকে গ্রীষ্মে।
কামুক ফাগুন রত্নাবলীর গায়ে আঁচড় ফেলে নি তখনো
সদ্যফোটা যৌবনের অস্তিত্ব জানান দেয় নি তার অভ্যন্তরে -
হাসতে মানা।
ফুল ফোটার অপেক্ষারত একদল পুরুষ
ফাগুনের কামুক পশু
সদ্যফোটা যৌবন নিষ্পেষিত করে
জানান দিয়েছিল রত্নাবলীকে - হাসতে মানা।