যারে বুঝিনি তারে হুজুগে বলি গুণী,
আর যারে বুঝেছি মনে করি-
তারও গভীরে গিয়ে না বোঝার স্তুপে
মাথা গুঁজে বসে থাকি
স্ববিরোধে কখন যে প্রকৃতির শ্বাস রোধ করি!
মনে পড়ে না সে রূপ রাসলীলা।


ভারী চমৎকার এখানেই
নিজে ঈশ্বর বা ঐশ্বরিক বোঝাতে অন্ধত্বে ডূবি
বোঝার তীব্র গতি আছে বোঝাতে মাথা দুলি
হীরে কয়লার গঠন নিয়ে কত ঢংয়ে লিখি,
যে কার্বন রূপ প্রকৃতির ছন্দে বুঝেছিলাম
ধর্মচক্রে অন্ধের যষ্টিতে গল্প কল্পে আবারো বুঝি!


জীবন সীমানায় ফল হাতে দেখি
ব্যর্থ সে নির্বোধে গড়েছি পাহাড় ভ্রম
বেলা শেষে আসে আভা, তীব্র সে অনুভূতি কমে
কি করে ফিরি, ফেরাই অনুসারী ইন্দ্রি দর্শনে?


শুয়ে বসে ক্রেতা বিক্রেতার হিসেব কষি মাইল ফলকে,
এক সময় ঝাপসায় কড়া নাড়ি নিজের দরজায়,
নিজের ছোট্ট ঘরের সজ্জাও তখন সরল লাগে,
কিন্তু পারি না!
শুধু পারি না জনতার দৃষ্টিতে সরল করে তুলতে!


একসময় দম বন্ধের গোঙানিতে,
আপন থেকে আপনার বিব্রত ছুড়ে
ভাবনায় ফিরি বাল্যের ক্ষুদ্র পরিসরে স্বস্তির নীড়ে,
যে পথে যেতে পারে যাক নদী মোহনায় ভিড়ে।



ধৃতি রাজ