... ...
হ্যালো!
তোমার হৃদয় নক্ষত্রদূর, আরও...
আমি জানি কেবল ২১ নং লেন।
আমার বাড়ি ২৭ নং লেনে।
ও, মাত্র ছ'টি লেন পেছনে আছি!
বাজে কথা! আচ্ছা সে'বার
বললেনা'তো আর কি ভাল লাগে।
আকষ্মিক নয় হত্যা নয় অতিপ্রিয়
স্বাভাবিক মৃত্যু, তোমার হাতে।
ফালতু জোক! বলো না!
কিছু না, নিজেকে।
তবু ভালো, নিজের জন্য সময় খরচ করছ।
নতুন কিছু লিখলে? শুনি একটু, নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক কবি!
এ'বছর তোমাদের পাড়ার থিম--
প্রবাহমান নাটক ও প্রাক্তন প্রেম
ভালোই, পূজোর ঋতু, উপযুক্ত সময়...
আর--?
আর লেখা হয়নি, ধরো এটাই কবিতা।
আহামরি কিছু নয়, অনেকে আরও
ভাল লেখে! আর কিছু লেখনি?
লিখব এখানে?
হ্যাঁ, বললামতো!
ঝুলে থাকার নাম সংযম বা
অপেক্ষা বা ফালতু সময় নষ্ট বা
অন্য একটা পটে যেত এতদিনে
কি হলো, উওর কই?
তুমি কোনটা করছ?
কনোটাই না।
বাজে কথা, চলি!
কেন? কেন??
ভাল লাগছে না, যতসব ফালতু--
তুমি অন্য অনেকে ভাল লেখে বললে কেন?
দুঃখিত! আচ্ছা ঠিক আছে, এবারে
অন্য একটা লিখি?
না, চলি,তাছাড়া যেটা সত্য,বলেছি!
আচ্ছা ঠিক আছে, মেনে নিলাম সত্য। এটাই শেষ
লেখা আজকের মতো। লিখি তাহলে?
ও'কে, শুনি!
অচল হয়ে এসেছে পোষ্টকার্ড
খামের ভেতরে রাখা সব খেয়াল
তোমার মুখে প্রচুর উওপ্ত নোটিশ
নতুন কিছু লিখতে ভয় করে
হয়ত অল্প কিছু কথার মতো বা
নৌকার মতো ছোট হতে হতে
তুমিও কোনোদিন রাস্তা ভুলে যাবে
ফরেনে সেটেল করে
আচ্ছা তোমার কবিতারা কি সবাই
শরীরে ছোট?
না না অনেকে বড় আছেন, আসলে
টাইপ করতে কম সময় লাগে তাই ছোট লিখি।
তাছাড়া বড় লেখা পড়ার সময় কোথায়।
লেখাটা কেমন বললে নাতো?
মোটামুটি, তবে সবেতেই প্রবাহটা এক--
মেয়ে ছেলেকে পাত্তা দিচ্ছে না।
সত্যিই তো দিচ্ছে না!
তাই না, চললাম!
না না পাত্তা দিচ্ছে!
দিলেও এবারে যাই, কাজ আছে।
এবারেরটাই শেষ আজকে--লিখি?
ঠিক আছে, লেখো। উত্তরটা কাল দেবো, যাই।
আনত জাতক আরশি-মুখের
ক্ষতবলয়ে কেলাসের ক্ষণিক প্রলেপ
প্রযত্নে: ছুরিকাঘাতের মরচে চুম্বন,
শুকিয়ে গেলেও প্রবাহ রেখো তুমি
পাথর-নদী বুকে
বিদ্যুৎ চমকে সভ্য শব্দ ভাঙতে।
উত্তর কাল আসিও
... ...