[চা দোকান। অল্প অল্প বৃষ্টি হচ্ছে। ভিড় কম, কয়েকজন বসে ঠেকে দাঁড়িয়ে। ছোকরা দোকানি কি যেন ভেবে হেডফোন সরাল কান থেকে]
...
: পা টানছে!
: মানে?
: লেগ পুলিং!
: না না কি বলছিস যা তা! আমি সিরিয়াস,
সিরিয়াসলি বলছি বিশ্বাস করো! নাহলে
আমি ওগুলো কেন...!
: এখনও টানছে!
: দেখবি তোকে একটা--
: থাম থাম! একটা কবিতা আসছে...
: আসুক আসুক!!
: হোক হোক!!
: বুড়ো সন্ন্যাসী খেয়ে লোপাট হয়েছি আমি,
উদ্যানে এখনও কৈফিয়ত বাকি আছে।--
: তারপর?
: শেষ?
: হ্যাঁ শেষ! কেন, হয়নি?
: না ভালোই, বেশ হয়েছে। কিন্তু বুড়ো
সন্ন্যাসীটা বুঝলাম না!
: ওল্ডমঙ্ক! ওল্ডমঙ্ক!
: ও!!
: আর উদ্যানে?
: বাসর মানে শোবার ঘর।
: বৌদিকে ভয় পাও তুমি?
: দূর শাআলা!
একটু পাই।
কখনও বলে ডিভোর্স দেবে, কখনও বলে
গলায় দড়ি দেবে!
: লিকার হবে'তো দাদা?
: হ্যাঁ, চিনি কম দে একটু!
: তুমি কিছু বলো না?
: কি ভাবছো?
: এ, ও! আমি বলেছি যে কোন একটা
করতে।
: তারপর?
: তারপর আর কিছু হয়নি।
: কেন এসব বলে?
: বলা যাবে না?
: সেটা নয়, এসব সিরিয়াস ব্যাপার,
বুঝবি না!
: বুদ্ধি নেই ভাবছ?
: আমার কিন্তু আছে দাদা!
: জানি, সে জন্যই তো সিঙ্গেল আছিস!
: কিন্তু আর থাকতে চাই না!
: সে তো বুঝতেই পারছি!
: তাহলে উপায়?
: প্লিজ, বলো বলো!
: চোখ কান মুখ খোলা রেখে রাস্তায় হাঁটতে
থাক, দেখতে পাবি। পেলেই নিবেদন
করবি।
: কী নিবেদন করব?
: ধূপ আর ধুনো!
: তারপর?
: তারপর উৎসব!
: উৎসবে ঘটনা-দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।...
[দোকানি একটু আহ্লাদে হেডফোন কানে নিল আবার। ঝিরঝির তখনও বৃষ্টি হয়ে চলেছে।]