নভঃস্থলে উড়তে দেখেছি তোমায় ,
দলে দলে উড়ে যাও সমস্বরে প্রতি সকালে ।
আর নীড়ে ফিরো সেই পথে বিকালে ।
কে বলে তোমার ডাক অশুভ ? তুমি শুভ :
কে বলে তুমি কালো ?
তুমিই মুছিবে পৃথিবীর কালোর কাল ।
আমি দেখেছি তোমার মাঝে অমল-শ‍্যামল মুরতি ।
মোর প্রাঙ্গনে মহীরুহ শাখে বসে
কেন ডাকো দাঁড়কাক―কা !কা ! করে
যাও বিশ্বমাঝে সতর্ক বার্তা ঘোষনা করো
অস্ত্রহাতে আসছি আমি হুশিয়ার―


এখন আর কোকিল শাবকের রুপে ভূলো না
যারা ডানা হলে উড়ে যায় অতীত ভূলে ,
আর জরাজীর্ণ পৃথিবীর মাঝে গাহে ফাগুনের গান ।
এবার কালো রুপের আড়ালে নকল রুপে
চিনে সুশিক্ষায় পালন করো নিজ সন্তানে ।
নিবেদন করো তারে জঞ্জালমুক্ত ধরনী গড়ার মহৎ যজ্ঞে।
অনেক তো সরিয়েছো শহর-নগরের
পথে-প্রান্তরে পড়ে থাকা মনুষ‍্যঘৃন‍্য দুর্গন্ধ জঞ্জাল ।
এবার সাফ করো মানুষের মনে জমা জঞ্জাল
যার রুপের চাকচিক‍্যে বোঝায় যায় না
ভিতরের নীচ-নগ্ন অমানবিক রুপ ।
সেই ভেটের অলি-গলিতে জন্মানো কচি কচি
সবুজ প্রান শ্বাস কষ্টে প্রতি মুহুর্তে করছে হাঁকপাঁক ।
তাই পদাশ্রয়ীরা মশা-মাছির মতো সানন্দে ধরেছে গান।


যুগে যুগে নভঃস্থলে অনেক তো ঘুরেছো
এবার পৃথিবীর বক্ষস্থলে করো বিচরন ।
মহাশূন‍্য হতে ছোঁ মেরে শিশুর হাতের
রুটি ছিনিয়ে নেওয়ার দিন শেষ ।
নির্জন গোঠে ভাগাড়ের
মৃতদেহ খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছ গতকাল ।
আজ ধরনীতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে
অমানুষদের তাজা তাজা রক্তের গন্ধ ।
তাদের লোভের সম্পদ রক্ষার্থে দাঁড়ায়ে
রয়েছে শতশত কাকতাড়ুয়ার দল ।
ঐ ওঠে সুনীল গগনে মাভৈ: ধ্বনি―
তোমার ইস্পাত-তীক্ষ্ণ চঞ্চু চালনে
পান করে তাদের মাথার খুলির রক্ত
তৃপ্ত করো তোমার তিয়াসী কন্ঠ ।


             -------------