উল্টো সুরে বলতে কথা -
রঙ্গিন জবা খোলা অধর ;
পায়রা নখে ঘুঙুর বাজে
হয়তো প্রিয়া লাজে বিবর ।  
বেলা শেষে ক্লান্তি নামুক
হেমন্তের এই মিষ্টি হাওয়া ………
সবুজ থেকে হলুদ চমক
শিরশিরানি ধানের পাতা ।  


রাস্তা জুড়ে মাদারি খেল
মানে খোঁজায় মস্ত গেঁজেল -
কাঁচামিঠে রোদের তেজে
হারিয়ে বাদল চালতা ফুল ।


উঁচকপালী নীলাভ ঘাম তামা গলা তেজ -
পর্দা আড়াল তর্জা-গানে আলোড়িত খেদ ।


ঊষ্ণ দুপুর গলছে মোম ,
পুষি বেড়াল রোমশ লোম ;  
ঘাড়ের চুলে জড়িয়ে বিলাস  
পশম চাদর রোধে বাতাস ।    


আলগা পাতা কেঁপে ওঠে নিয়ম বাঁধনে
স্বল্প বিকেল গল্প শোনা আদর-যতনে ।


খালি পায়ের ছাপের আঁকে
খেলায় মেতে দেমাক ;
ঘাস ললিতে বাস্প শীতে  
সাত সাগরের প্রলাপ ।  
অপেক্ষার তিন সর্গ -
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ;  
খণ্ড-ভাগে পূর্ণ শশী  
ঘোর তামাশা জগৎ ।  


সাদা হলুদ গর্ভকেশর পাঁচটি পরাগধনী......
হিমঝুরি ‘হাসি’র আকাশ হেমন্তের রাণী ।    
জ্বাজল্য আকাশ-প্রদীপ র্স্বগ পথে দিশা -
মাদল তালে অমা-নিশায় মহুয়া-মাতাল নেশা ।  


হিমঝুরি – হেমন্তের ফুল