ওগো প্রিয় মা জননী, কোন্ বা দেশে থাকো তুমি,
সেই অজানা ঠিকানাটি একটু বলে দাও ।
আছো বুঝি স্বর্গপুরে, অনন্ত সুখের ঘোরে,
কৃপা করে সেই দেশে আমায় নিয়ে যাও ।
আমাকে অনাথ করে, ফেলে গেলে চিরতরে,
নয়নের বারিধারায় নিজেরে ভাসাই ।
তোমার অতি আদর-স্নেহ, কোথাও গেলে দিবে কেহ,
মায়ের মত মায়াময়ী কোথা’ গিয়ে পাই ।
মা মা বলে ডাকি যখন, কোন সাড়া পাইনা তখন,
শোকাকূল হয়ে পড়ি ভাঙ্গলে ঘুম ঘোর ।
ঘন আঁধার কবর ঘরে, যেথায় আছো অনাদরে,
দুঃসহ ঘরখানিতে নেই যে কোন দোর ।
মমতা মাখা ডাক তোমার, তেমনি কেউ ডাকেনা আর,
লক্ষ্মী হাতে খেতে দিতে মনে পড়ে সেই ।
প্রবাস হ’তে যেতাম যখন, তব চরণ ছুঁতাম তখন,
স্নেহ সুধায় ডুবিয়ে দিতে চোখে ভাসে সেই ।
দ্যুলোক ভূলোক বুঝি সবি, ভোলা যায়না মায়ের ছবি,
পরপারের যাত্রী সবাই ভাল ক’রে জানি ।
ওমা তোমার অন্তিম বেলা, করেছি কি অবহেলা,
ক্ষমা ক’রে দিও আমায়, তুমি অন্তযার্র্মী ।
সোনার দেহ পরিপাটি, বুঝি বা সে হ’ল মাটি,
প্রাণ পাখি উড়ে গেছে কোন্ সে অচিন দেশে ।
ভাবতে গেলে নিগূঢ় কথা, প্রাণে বাজে অধিক ব্যাথা,
হবে কি আর পুনঃ দেখা মরণের শেষে ।
এই বিশ্ব চরাচরে , জন্ম ল’য়ে ঘরে ঘরে,
কোথা হতে আসে জীব, এত নরনারী ।
মায়া বাঁধন ছিন্ন করে, অনন্তের পথ ধরে,
কোথায় ফিরে চলে যায় সর্বস্ব ছাড়ি ।
সাঙ্গ করি ভবের খেলা, ভেঙ্গে যায় সাধের মেলা,
সুখ-দুঃখের অবসান ঘটে সেই দিন ।
বিরহের অশ্রুধারে, বাঁচাতে পারেনা তারে,
অনিবার বাজে প্রাণে বেদনার বীণ্ ।