শীত এলো ধনীর অট্টালিকায়, সুখ নিদ্রালয়ে
শীত এলো আজ কুড়ে ঘরে, দুঃখ-বিষাদ ব’য়ে ।
শীত এলো ফুটপাতে মানবেতর জীবন মাঝে,
শীত এলো উত্তরবঙ্গে, জীবন নিধন সাঁঝে !
কত শত প্রাণ ঝরে পড়ে যে, ফুলের মত করে
হাত বাড়ায় না কোন ধনী, তাদের ত্রাণের তরে ।
ভোগ বিলাসে মগ্ন ধনী, চায় না দুঃখীর পানে,
কেমনে গড়বে টাকার পাহাড়, সেটি ভালো জানে ।
ত্রাহি ত্রাহি করে গরীব, শীতের কঠোর ঘাতে  
শীতে কাঁপায় সারা শরীর, নিদ্রা হারায় রাতে !
জ্বর কাঁশি আর ঠাণ্ডার ব্যধি গরীবের চির সাথী,
শীত ঋতুতে হিমেল বায়ুর শুধুই মাতামাতি !
হিমালয়ের বাতাস যখন প্রবাহিত হয়
কঠোর শীত নামে তখন, কার শরীরে সয় ?
আমাদের বাংলাদেশ হয়, নেপাল হতে ঢালে ;
তাইতো বাংলার মানুষ কাতর, শীত প্রবাহ কালে !
অল্প স্বল্প হিম হলে শাক সবজি ভালো ফলে,
তীব্র হিমে ক্ষতি বাড়ে, সব কিছু যায় জ্ব’লে ।
খেজুর রসের সমারোহ, পৌষ অবধি মাঘে ,
খেজুর গুড়ের পিঠা-পায়েস কী যে স্বাদু লাগে !
তীব্র শীতে অযতনে গায়ের ত্বক হয় নষ্ট
শীতের প্রকোপ বাড়ায় শুধু বাস্তুহারার কষ্ট !
এসো সবে শীত বিরুদ্ধে বাড়াই দানের হাত
বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দিয়ে, শীত করি নিপাত ।।