হেঁটেছি মরু, পাহাড়ি পথ ধরে
হেঁটে চলেছি পৃথিবীর কোণ থেকে কোণে,
কখনো দূর্গম সাগরের কোল ঘেঁষে
উত্তপ্ত গিরি , নদী, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে।


অপলক নয়নে দেখেছি পৃথিবীর সব সুখ
দুঃখ ভরা রমণীর ক্লান্ত ভরা মুখ,
মা হারা ছেলের আর্তনাদ ব্যাকুলতা
ধর্ষিত বোনের আর্তচিৎকাররে স্বজন বিমুখ।


কোথাও দেখেছি শুধু ভাতের অভাব নহে
দুর্ভিক্ষে জ্বালাময় ধরিত্রীর  বিভীষিকা,
দু মুঠো অন্ন তুলে দিতে নারী
নিজেকে বিলিয়ে রাতে পায় পিশাচিনীর অসৎ টাকা।


কোথাও দেখেছি চাকচিক্য ভরা অশান্ত রাজ্য
রাজকীয় মুখোশের অসুস্থ মানুষ,
ছুটছে কেবলই শুধু টাকার নেশায় সবে
সাদাকালো নাহি বুঝে, টাকার নেশায় বেঁহুশ।


কোথাও প্রকৃতির অপূর্ব নীলাভূমি
অসভ্য মানুষের ভিড়েও সভ্য মানবজাতি,
মানুষকে দেয় মান , একাল ঐকাল মহাকাল
উন্নত হয় শির ভাবতে মানুষজাতি।


সব সংশয় দূরে সরে, গর্ভে বুক ভরে
ভালোবাসা! এতো ভালোবাসা! নেই কোনো অভিমান,
যখন ফিরি বাংলায় , মোরা বাংলা মায়ের সন্তান
জাতিভেদ কিছু নয়, পৃথিবী চেয়ে রয়, বাঙ্গালীর পরিচয়।